Author: antu

প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান, যার অভাবে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই, শরীর পর্যাপ্ত প্রোটিন পাচ্ছে কি না, এ বিষয়ে খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের ফলে অনেক সময় শরীরে প্রোটিনের অভাব দেখা দিতে পারে, যা সহজে বুঝে ওঠা যায় না। যখন এই অভাব প্রকট হয়ে ওঠে, তখন বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। কিছু লোকের কর্মশক্তি হ্রাস পায়, অন্যদের বিপাক হার দুর্বল হয়, বা শরীরে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদনে সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য আগে থেকেই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়- সর্বদা ক্ষুধা ভাব: প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘ সময় ধরে পেট…

Read More

ভিটামিন-ই সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র‍্যাডিকেল দ্বারা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ইমিউন সিস্টেমের কার্যক্রমে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ই এর অভাব হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং এর ফলে পেশির দুর্বলতা, দৃষ্টি সমস্যা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এই সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করতে, ভিটামিন ই এর অভাবের লক্ষণগুলি চিহ্নিত করা এবং আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে ভিটামিন ই’ য়ের অভাব হলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন- উপরোক্ত লক্ষণগুলি দেখা দেয় তাহলে এখন থেকেই এই ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খেতে…

Read More

সজনে পাতার শাক বা ভর্তা কমবেশি সবাই খেয়ে থাকেন, কিন্তু সজনে পাতার গুঁড়ো দিয়ে চা তৈরির কথা অনেকেই জানেন না। এই চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ-বালাইয়ের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। সজনে পাতার চায়ে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়ার শক্তিশালী ক্ষমতা রয়েছে, যা বিশেষ করে ঠাণ্ডা লাগা ও বুক-গলায় সংক্রমণের ক্ষেত্রে উপকারি হতে পারে। এছাড়া, সজনে পাতা নানা পুষ্টিগুণে পূর্ণ; এতে ভিটামিন এ, বি ১, বি ২, বি ৩ এবং সি আছে, সঙ্গে ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়ামও রয়েছে। সজনে পাতার পুষ্টিগুণ- -এটি রোগ প্রতিরোধে সহযোগিতা করে। -হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। -প্রদাহনাশক হিসাবে…

Read More

আমাদের শরীরে বিভিন্ন হরমোনাল গ্রন্থি রয়েছে, যেগুলি নানা ধরনের হরমোন উৎপন্ন করে। এদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি হল থাইরয়েড, যা গলার সামনের দিকে অবস্থিত এবং দেখতে প্রজাপতির মতো। তাই এটিকে প্রজাপতি গ্রন্থিও বলা হয়। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরয়েড নামের হরমোন নির্গত হয়। নানা কারণে এই গ্রন্থিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা এর কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। দেশে প্রায় ৫ শতাংশ মানুষ থাইরয়েড হরমোনের সমস্যায় ভুগছে। থাইরয়েড হরমোন আমাদের বিপাক প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শরীরের তাপমাত্রা, ত্বক, চুল, হৃদস্পন্দন, পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্রম, প্রজননস্বাস্থ্য, মস্তিষ্কের গঠন, কোষের গঠন, ওজন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাই, হাইপোথাইরয়েডিজম হলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা…

Read More

ওজন কমানোর জন্য অনেক পরিশ্রম এবং নানা কৌশল প্রয়োজন। বিভিন্ন পরামর্শ ও নির্দেশাবলী শুনতে হয়, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো খাদ্যভ্যাস ঠিক রাখা। কঠোর ডায়েটের চেয়ে ভালো, সঠিক সময়ে এবং সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। ওজন কমাতে কিছু নির্দেশনা- ১. সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন- সঠিকভাবে ওজন কমানোর প্রথম পদক্ষেপ হল সুষম খাদ্যাভ্যাস পালন করা। খাদ্য তালিকায় প্রয়োজনীয় পরিমাণে প্রোটিন, শাকসবজি, ফলমূল এবং হোল গ্রেইন অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রোটিন ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ক্ষুধা কমায় এবং দীর্ঘ সময় পেট পূর্ণ রাখে। প্রোটিনের ভালো উৎস হিসেবে মুরগির মাংস, ডিম, মাছ, ডাল, ছোলা ইত্যাদি উপকারী। ২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন- শারীরিক ব্যায়াম ওজন…

Read More

দৈহিক সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে ত্বকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের যত্ন নিয়ে আমরা নানা ধরনের সৌন্দর্যচর্চা করে থাকি। কিন্তু জিনগত, পরিবেশগত বা হরমোনাল কারণে অথবা সঠিক যত্নের অভাবে অনেক সময় অল্প বয়সেই ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে ভাঁজ পড়া, ঝুলে যাওয়া, টান টান ত্বক হারানো বা কুঁচকে যাওয়া সাধারণ বিষয়। দাগও পড়ে। প্রাচীনকাল থেকে ত্বকচর্চার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে আসছে, যার মধ্যে আধুনিকতম হল লেজার চিকিৎসা। ত্বকের সমস্যা বা সৌন্দর্যচর্চার জন্য যখন প্রচলিত প্রসাধনসামগ্রী, ঘরোয়া চিকিৎসা বা প্রথাগত পদ্ধতিতে কাজ না হয়, তখন লেজার চিকিৎসা একটি কার্যকরী সমাধান হতে পারে। এটি সম্পূর্ণ ব্যথাহীন এবং কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া…

Read More

চুল পড়া একটি জটিল সমস্যা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মাথায় সাধারণত ১ লাখ থেকে ১.৫ লাখ চুল থাকে। সাধারণভাবে, চুল মাথার স্ক্যাল্পে প্রায় তিন বছর ধরে থাকে। এরপর এগুলো টেলোজেন বা বিশ্রামের পর্যায়ে চলে যায়। টেলোজেন পর্যায়ে তিন মাসের জন্য চুলের গোঁড়া বিশ্রামে থাকে, তারপর চুল পড়তে শুরু করে। এ কারণে প্রতিদিন প্রায় ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার। চুলের জীবনচক্রে বিশ্রামের পর্যায়ের পর চুল পড়ে যায় এবং একটি নতুন চুল সেই স্থানটি পূরণ করে, ফলে চক্রটি পুনরায় শুরু হয়। সাধারণত, মাথার চুলের প্রায় ১০ শতাংশ টেলোজেন পর্যায়ে থাকে। কিন্তু কিছু পরিস্থিতিতে, চুলের বৃদ্ধির স্বাভাবিক ছন্দ ব্যাহত হতে পারে এবং ৩০ থেকে…

Read More

এমপক্স একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার ক্রান্তীয় রেনফরেস্ট সংলগ্ন এলাকায় বেশি দেখা যায়।তবে বর্তমানে আফ্রিকার শহরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানেও এটির সংক্রমণ বাড়ছে।এছাড়াও এটি এখন বিশ্বব্যাপী আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।   এমপক্স একটি সংক্রামক ব্যাধি যা পশু থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। এটির উপসর্গ অনেকটা গুটিবসন্তের মত।তবে এক্ষেত্রে গুটিবসন্তের থেকে এটির তীব্রতা অনেক কম। গবেষণাগারের তথ্যানুসারে বাঁদরের শরীরে প্রথম এই ভাইরাসটির সন্ধান মেলে। বাঁদর ছাড়াও আফ্রিকান কাঠবেড়ালি এবং গাম্বিয়ান পাউচড ইঁদুরের মধ্যেও এই ভাইরাসটির সন্ধান মিলেছে। এই সব প্রাণীর মাংস খাওয়া মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণের একটি বড় কারণ হতে পারে। এমপক্সের লক্ষণ-   সংক্রমণের এক…

Read More

হেমোরয়েড বা পাইলস একটি বহুল পরিচিত ব্যাধি। শতকরা ১০ জন ব্যক্তির মধ্যে ৮ জন ব্যক্তিই পাইলস বা হেমরয়েডের শিকার।কিন্তু লজ্জা কিংবা সামাজিক প্রতিবন্ধতার জন্য অনেকেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না।আবার অনেকে হাতুড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন তবে সাময়িক ব্যথা নিরাময়ের জন্য।কিন্তু আধুনিকতার এই যুগে অনেকেই জানেন না কোনোরকম অস্ত্রোপচার ছাড়া পাইলসের চিকিৎসা সম্ভব। হেমোরয়েড বা পাইলস মূলত মলদ্বার বা মলদ্বারের নিচের শিরাগুলোর ফুলে যাওয়া এবং প্রসারিত হওয়াকে বোঝায়।তবে হেমোরয়েড দুই ধরণের হয়ে থাকে। ১)বাহ্যিক হেমোরয়েড- বাহ্যিক হেমোরয়েড হল একটি সাধারণ সমস্যা যা মলদ্বারের চারপাশের ত্বকে ঘটে। এটি অনেক অস্বস্তি এবং ব্যথার কারণ হতে পারে। বাহ্যিক হেমোরয়েডগুলো সাধারণত মলদ্বারের ত্বকের নিচে ফোলা…

Read More

হৃদরোগ একটি জটিল রোগ। শিশুদের জন্মগত ত্রুটি ছাড়া সাধারণত হৃদরোগের সমস্যা হয় না। এই কারণে অনেক বাবা-মাই সন্তানের বুকের ব্যথাকে তেমন গুরুত্ব দেন না। তবে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কখনো কখনো এটি আপনার শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। জন্মগত হলেও জন্মের পর সাথে সাথে জন্মগত হৃদরোগের কোনো লক্ষণ নাও দেখা দিতে পারে। কখনও কখনও সাধারণ জন্মগত হৃদরোগ। যেমন-হোল ইন হার্ট বা হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র হয়ে থাকে তবে জন্মের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহে এটি শনাক্ত করা যায় না। সাধারণ হৃদরোগ যেমন ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট এবং পেটেন্ট ডাক্টাস আর্টেরিওসাস । প্রথম ১-৪ সপ্তাহে এই রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। মুলত…

Read More