Author: antu

অপটিক নিউরাইটিস বা অপটিক নিউরোপ্যাথি হল অপটিক নার্ভের প্রদাহ চোখের রোগ। অপটিক নার্ভ হলো চোখ এবং মস্তিষ্কের মধ্যে প্রধান ও একমাত্র স্নায়ু সংযোগ, যা দৃষ্টি সংক্রান্ত সংকেতগুলো মস্তিষ্কে পৌঁছাতে সহায়তা করে। যখন এই নার্ভের কোনো ক্ষতি হয়, তখন দৃষ্টির সমস্যার সৃষ্টি হয়। কারণ- লক্ষণ- চিকিৎসা- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এই সমস্যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ঠিক হয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে সুস্থ হতে ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। -মাইগ্রেইন বা মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার -হার্টের মাংসপেশির অসুখ: কার্ডিওমায়োপ্যাথি -নবজাতকের রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়া

Read More

ধনেপাতার অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং প্রদাহ হ্রাস করে। ধনেপাতায় থাকা এসেনশিয়াল অয়েল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি মৃগী রোগের খিঁচুনি ও উদ্বেগ কমাতে সক্ষম। এছাড়া, ধনেপাতায় রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি২ এবং অন্যান্য ভিটামিন। ১. প্রদাহ রোধ করে ধনেপাতা রান্নার পাশাপাশি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এর রসে উপস্থিত এসেনশিয়াল লিপিড ও লিনালুল তেল রয়েছে, যা গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্যথা উপশম করতে পারে এবং অতিরিক্ত সক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সহায়তা করে। তাছাড়া, ধনেপাতা মৃগী রোগ, বিষণ্নতা এবং প্রদাহ প্রতিরোধে কার্যকর।…

Read More

গর্ভাবস্থায় যেকোনো ধরনের জ্বর ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে, ডেঙ্গু সংক্রমণ হলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এ সময় ডেঙ্গুর জটিলতা, যেমন রক্তপাত, রক্ত ঘন হয়ে যাওয়া, শরীরে (পেট ও ফুসফুসে) পানি জমা হওয়া এবং গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়ে। ভাইরাল জ্বরের ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীদের রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা নারীর ভাইরাল জ্বরে গর্ভের শিশুর কী ক্ষতি হতে পারে- গর্ভাবস্থায় জ্বর হলে মা ও শিশুর জন্য ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে, প্রথম তিন মাসে জ্বর হলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়; উদাহরণস্বরূপ, রুবেলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৬৫ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু ভাইরাল জ্বরের কারণে শিশুর জন্মগত ত্রুটি সৃষ্টি হতে…

Read More

হাঁটুর ব্যথা আমাদের দেশে একটি সাধারণ সমস্যা। যারা এই ব্যথায় ভোগেন, তারা মাঝে মাঝে সিঁড়ি ভাঙলে বা হাঁটলে ব্যথা আরও বাড়তে পারে। কিছু মানুষের হাঁটু ব্যথা কম হয়, আবার কিছু মানুষের বেশি। তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, এই সমস্যা শুধু বয়স্কদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; ৩০ বছর বয়সী যুবকদের মধ্যেও এর উপস্থিতি বেড়েছে। তথ্য অনুযায়ী, হাঁটুর ব্যথায় কম বয়সীরা বেশি ভুগছেন। অফিসে দীর্ঘ সময় বসে থাকার এবং ব্যস্ততার কারণে শরীরচর্চার অভাব এই সমস্যা সৃষ্টি করছে। তবে হাঁটুতে ব্যথা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই; কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যা হাঁটুর ব্যথা কমাতে সহায়তা করতে পারে। হাঁটুর ব্যথা কমানোর জন্য ১০টি প্রাকৃতিক ঘরোয়া…

Read More

ঘরে-বাইরে সব জায়গায় কাজের চাপ। অফিসের কাজে সময়ের চাপ, সংসারের দায়িত্ব— এইসব মিলিয়ে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা যেন আমাদের চারপাশে ঘিরে ধরেছে। মনের উপর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। এই মানসিক চাপের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যেমন অনিদ্রা, অতিরিক্ত খাওয়া, ওজন বৃদ্ধি এবং স্নায়ুর সমস্যাও অনেকের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে ‘স্ট্রেস হরমোন’। এই হরমোনের কারণে শরীরের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের নিঃসরণ বাড়ে, যা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়ানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সৃষ্টি করে। ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী জানান, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি কর্টিসল নিঃসরণ করে, এবং অতিরিক্ত মানসিক…

Read More

‘অ্যানোরেক্সিয়া নারভোসা’ বা ‘স্বল্পাহারজনিত কৃশতা’ একটি রোগ যা খাদ্যাভ্যাসের অস্বাভাবিক প্রবণতার কারণে ঘটে। এই রোগের আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। যদিও যেকোনো বয়সে এই রোগ হতে পারে, তবে সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। লক্ষণ- বয়স ও উচ্চতার ভিত্তিতে একজন ব্যক্তির ন্যূনতম স্বাভাবিক ওজন থাকা উচিত, কিন্তু অ্যানোরেক্সিয়া নারভোসায় আক্রান্ত রোগীর ওজন সাধারণত এ পরিমাণের চেয়ে অনেক কম থাকে। রোগীরা স্বেচ্ছায় ওজন কমানোর চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন অজুহাতে খাবার এড়িয়ে চলে। অতিরিক্ত ব্যায়াম করার পাশাপাশি, কিছু মানুষ এমন সব ওষুধ ব্যবহার করে যা শরীর থেকে খাবার ও পানি বের করে দেয় অথবা খাবারের প্রতি অরুচি সৃষ্টি করে। রোগীর নিজের…

Read More

প্রাচীন কাল থেকেই মিশরীয় ও ভারতীয়দের খাদ্যতালিকায় কাঠবাদাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বাদামে প্রচুর খনিজ উপাদান এবং ভিটামিন রয়েছে। ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি, প্রোটিন, এবং অ্যামাইনো অ্যাসিডে ভরপুর কাঠবাদাম ক্যানসারের বিভিন্ন প্রকার প্রতিরোধেও সহায়ক হতে পারে। ১. ওজন কমানোর সহায়ক- যদিও কাঠবাদামে উচ্চ ক্যালরি থাকে, এটি ওজন কমানোর জন্য উপকারী হতে পারে। এই বাদাম ফাইবার, প্রোটিন, এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিতে সমৃদ্ধ। গবেষণায় দেখা গেছে, কাঠবাদাম ক্ষুধা কমায় এবং দিনের শেষে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা দূর করে, ফলে অতিরিক্ত ক্যালরি শরীর থেকে বের হতে সাহায্য করে। তবে, এর উচ্চ ক্যালরি ব্যবহারের পরিমাণে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ২. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি- কাঠবাদামে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে…

Read More

গর্ভাবস্থায় মায়ের কোনো রোগ, প্রসবকালীন জটিলতা, জন্মগত ত্রুটি অথবা জন্মপরবর্তী সময়ে সংক্রমণ নবজাতকের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য জটিলতা হলো নবজাতকের হাইপোগ্লাইসিমিয়া, অর্থাৎ রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যাওয়া। নবজাতকের হাইপোগ্লাইসিমিয়াকে বিভিন্ন মাত্রায় সংজ্ঞায়িত করা হয়, যা শিশুর মাতৃগর্ভে থাকার সময়কাল, জন্মের ওজন এবং শিশুর বয়সের ওপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে, নবজাতকের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ৫০ মিলিগ্রাম/ডিএল বা ২ দশমিক ৭ মিলিমোল/লিটারের নিচে থাকলে তাকে হাইপোগ্লাইসিমিয়া বলা হয়। সামগ্রিকভাবে প্রতি হাজার নবজাতকের মধ্যে ১ দশমিক ৩ থেকে ৩ দশমিক ০ শতাংশ ক্ষেত্রে এটি দেখা যেতে পারে। নবজাতকের হাইপোগ্লাইসিমিয়ার ধরন- হাইপোগ্লাইসিমিয়া দুই ধরনের হতে পারে: অস্থায়ী এবং দীর্ঘস্থায়ী। নবজাতক…

Read More

মাথাব্যথার কারণে ব্যক্তি পারিবারিক, সামাজিক, আর্থিক এবং পেশাগত জীবনে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হন। বিশ্বব্যাপী, ১৮-৬০ বছর বয়সী জনগণের প্রায় ৪৬% প্রতি বছর একবার না একবার মাথাব্যথার শিকার হন। মাথাব্যথার কারণ- একজন মানুষের কর্মক্ষমতা এবং কার্যক্ষমতার ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। স্নায়ুরোগের মধ্যে মাথাব্যথার হার সবচেয়ে বেশি। মাথাব্যথার কারণে অনেকেই পারিবারিক, সামাজিক, আর্থিক এবং পেশাগত ক্ষতির সম্মুখীন হন। বিশ্বের বয়স্ক জনগণের প্রায় ৪৬% প্রতি বছর মাথাব্যথার শিকার হন। এই মাথাব্যথার রোগীদের মধ্যে ১১% মাইগ্রেন, ৭০% টেনশন টাইপ হেডএক, এবং ৩% ক্রনিক ডেইলি হেডএক দ্বারা আক্রান্ত হন। সাধারণভাবে, বয়স্ক মহিলারাই নানা ধরনের মাথাব্যথার শিকার হন, এবং প্রতি বছর ২০% শিশু ও…

Read More

শরীরের ট্রাইজেমিনাল নার্ভ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ু যা মুখ থেকে মস্তিষ্কে অনুভূতি প্রেরণ করে। যদি এই নার্ভে কোনো সমস্যা বা চাপ সৃষ্টি হয়, তবে মুখের একপাশে, বিশেষ করে কানের পাশে, বৈদ্যুতিক শকের মতো তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এই ব্যথা চোয়াল ও মাড়িতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং মাঝে মাঝে চলে যায়। এই অবস্থাকে ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া বলা হয়। ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া অত্যন্ত কষ্টদায়ক হতে পারে এবং এটি একটি ব্যক্তির জীবনযাত্রার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন ওজন হ্রাস, একাকীত্ব, এবং বিষণ্নতা। নারীরা সাধারণত এই রোগে পুরুষদের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হয়। ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়ার কারণ- ব্যথার লক্ষণ- চিকিৎসা- আরও জানুন- -মেনিনজাইটিসে দ্রুত চিকিৎসা -কানের…

Read More