শীতের দিনে অনেকেরই অল্পতেই ঠান্ডা লাগার ধাত আছে। হঠাৎ করেই শুরু হয় সর্দি, কাশি । এক্ষেত্রে গরম পানীয় আপনাকে আরাম দেবে। গলা ব্যথা থাকলেও উপকার পাবেন। অনেকসময় হাঁচি-কাশির পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে এসব পানীয়।
প্রকৃতিতে চারদিকে শীতের আমেজ। শীতের সকালে শিশির ভেজা ঘাস, শেষ রাতের ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে সতেজ করে তুলে। শীতের সময় ফ্লু, ঠান্ডাজ্বর, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ শরীরকে সহজেই কাবু করে ফেলতে পারে। তাই শীতে সুস্থ থাকতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
গরম দুধে হলুদ : গরম দুধের মধ্যে সামান্য হলুদ মিশিয়ে খেতে পারলে অনেক উপকার পাবেন। বিশেষ করে যাদের অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যায়, সর্দি-কাশি হয়, তারা এই পানীয় খেলে উপকার এবং আরাম দুটোই পাবেন। হলুদে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবাইয়াল ইনফেকশন এড়াতে সহায়তা করে। সর্দি কাশির সমস্যা কমানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় এই পানীয়।
ব্ল্যাক টি : শীতের দিনে লিকার চা বা কালো চা খেলে উপকার পাবেন। এই চা মেদ ঝরাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ব্ল্যাক কফি : কফিতে দুধ এবং চিনি অপছন্দ হলে শীতে আপনার সঙ্গী হোক ব্ল্যাক কফি। তবে দুধ, চিনি ছাড়া কফি খেলে অনেকসময় অ্যাসিডিটি হয়। তাই প্রদাহজনিত সমস্যা থাকলে এই পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো। কাজের ফাঁকে এক কাপ ব্ল্যাক কফি খেলে চাঙ্গা থাকবেন। এছাড়াও ত্বকের খেয়াল রাখে ব্ল্যাক কফি। তবে এই পানীয় স্বাদে তেতো হয়। চাইলে দুধ এবং চিনি মিশিয়েও খেতে পারেন।
গ্রিন টি : গ্রিন টি খাওয়ার যে অনেক উপকারিতা তা প্রায় সবারই জানা। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ এই পানীয় শরীরে মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে অতিরিক্ত কোনও কিছুই খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। এ কারণে যে পানীয়ই খান না কেন অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়াই ভালো।