বাত ব্যথা কোনো রোগ নয় তবে উপসর্গ মাত্র।বাত ব্যথাকে মেডিকেলের ভাষায় বলে রিউমাটোলজি। যেখানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে। বাতের ব্যথা বলতে মূলত আমরা বুঝি, গিটে, জয়েন্টে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, বাঁকা হয়ে যাওয়া, কাজ করতে সমস্যা হওয়া। মাংসপেশীতে ব্যথা এবং লিগামেন্টে ব্যথা।
বাত-ব্যথার কারণঃ
কয়েকটি কারণে এই রোগটি হতে পারে।যেমন-
১)জেনিটিক। কারো বাবা-মা ও রক্তসম্পকীয় আত্মীয়দের মাঝে যদি এ রোগের ইতিহাস থাকে। তাহলে পরবতী প্রজন্ম রোগটিতে আক্রান্ত হতে পারে।
২) পরিবেশগত কারণেও রোগটি হয়ে থাকে। যেমন: কিছুদিন আগে আমাদের দেশে চিকুনগুনিয়ার পর অনেকের বাত ব্যথা হয়েছে।
৩) জীবন অভ্যাসের পরিবর্তন। যেমন: আমরা কায়িক পরিশ্রম কম করে থাকি। এতে স্থুলতা বৃদ্ধি পায় অথাৎ শরীরের ওজন বৃদ্ধির ফলে হাঁটুর গিটে অতিরিক্ত একটা চাপ পড়ে। সেখান থেকেও বাত ব্যথা হয়ে থাকে।
৪)অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণেও বাত ব্যথা হতে পারে। যেমন: খেলোয়াড় বা শ্রমিকের মাংশপেশী বেশি ব্যবহার হয়। সেক্ষেত্রেও বাত ব্যথা হতে পারে।
৫)বয়সজনিত কারণে বয়স্কদের অনেকের। বিশেষ করে মহিলাদের ম্যানোপোজের পরে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়।
বাত ব্যথার সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
১)গিটে ব্যথা, গিট ফুলে যাওয়া।
২) সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠার পর গিটে জ্যাম জ্যাম লাগা।
৩)স্কিনে রেশ আসা ও মাথার চুল পড়ে যাওয়া।
৪) মুখের ভেতর ঘা হওয়া।
৫) হাত-পা জিম জিম করা।
৬)হাত-পা নাড়তে সমস্যা।
৭) চোখ লাল হয়ে যায়।
বাত ব্যথার চিকিৎসাঃ
এক্ষেত্রে রিউমাটোলিজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া অত্যাবশ্যক। কিডনি রোগ বা ডায়াবেটিস হলে যেমন সারা জীবন ওষুধ খেতে যেতে হয়, তেমনি বাতকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ওষুধ খেতে হয়, তবে সেটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে। তখন ব্যথার ওষুধ কম খেতে হবে। কারণ, ব্যথার ওষুধ শরীরের অনেক ক্ষতি করে। ওষুধ হচ্ছে বাত রোগ চিকিৎসার একটি অংশ।
কিন্তু এর বাইরেও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে, যেমন: সুষম খাবার গ্রহণ করার সঙ্গে শরীরের ওজন ঠিক রাখতে হবে। সুবিধামতো সময়ে ব্যয়াম করা। দীর্ঘশ্বাস নিয়ে একটু স্বস্তি-আরামে থাকা। হাঁটাহাঁটি করা। তবে ব্যায়ামগুলো অবশ্যই বিজ্ঞানসম্মত হতে হবে। এছাড়া খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা, যেমন: শর্করা জাতীয় খাবার কম খাওয়া। শাকসবজি ও ফলমূল নিয়মিত খাওয়া। প্রচুর পানি পান করা।Healthx BD
আরও জানুন-
–সাইনুসাইটিস কারণ – ধরণ ও প্রতিরোধে করণীয়