ঘরে-বাইরে সব জায়গায় কাজের চাপ। অফিসের কাজে সময়ের চাপ, সংসারের দায়িত্ব— এইসব মিলিয়ে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা যেন আমাদের চারপাশে ঘিরে ধরেছে। মনের উপর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। এই মানসিক চাপের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যেমন অনিদ্রা, অতিরিক্ত খাওয়া, ওজন বৃদ্ধি এবং স্নায়ুর সমস্যাও অনেকের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে ‘স্ট্রেস হরমোন’।
এই হরমোনের কারণে শরীরের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের নিঃসরণ বাড়ে, যা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়ানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সৃষ্টি করে।
ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী জানান, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি কর্টিসল নিঃসরণ করে, এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে এটি বৃদ্ধি পেতে পারে। শরীর যদি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কর্টিসল উৎপন্ন করে, তবে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত কর্টিসল শরীরে মেদ জমাতে সাহায্য করে, ফলে ওজনও বাড়ে। এর পাশাপাশি ঘুমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যারা সাধারণত ঘুমের সমস্যায় ভোগেন না, তারাও ঘুমের অভাবে ভুগতে পারেন, মাথায় নানা চিন্তা ঘুরপাক খেতে পারে, এবং দিনের শেষে ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন, কাজের প্রতি আগ্রহ হারাতে পারেন।
কর্টিসল স্নায়ুতন্ত্রের ওপরও প্রভাব ফেলে। মন খারাপ, অবসাদ এবং ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত উদ্বেগের ফলে ‘প্যানিক অ্যাটাক‘-এর আশঙ্কাও থাকে। চিকিৎসকদের মতে, স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ অনিয়মিত হলে হৃদস্পন্দনের হার বাড়তে পারে, পাশাপাশি অতিরিক্ত অ্যাড্রিনালিন নিঃসরণ ও রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে। ক্রনিক স্ট্রেসের কারণে উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। Healthx BD
আরও জানুন-
–নবজাতকের রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়া