Author: antu

বাত ব্যথা কোনো রোগ নয় তবে উপসর্গ মাত্র।বাত ব্যথাকে মেডিকেলের ভাষায় বলে রিউমাটোলজি। যেখানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে। বাতের ব্যথা বলতে মূলত আমরা বুঝি, গিটে, জয়েন্টে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, বাঁকা হয়ে যাওয়া, কাজ করতে সমস্যা হওয়া। মাংসপেশীতে ব্যথা এবং  লিগামেন্টে ব্যথা। বাত-ব্যথার কারণঃ কয়েকটি কারণে এই রোগটি হতে পারে।যেমন- ১)জেনিটিক। কারো বাবা-মা ও রক্তসম্পকীয় আত্মীয়দের মাঝে যদি এ রোগের ইতিহাস থাকে। তাহলে পরবতী প্রজন্ম রোগটিতে আক্রান্ত হতে পারে। ২) পরিবেশগত কারণেও রোগটি হয়ে থাকে। যেমন: কিছুদিন আগে আমাদের দেশে চিকুনগুনিয়ার পর অনেকের বাত ব্যথা হয়েছে। ৩) জীবন অভ্যাসের পরিবর্তন। যেমন: আমরা কায়িক পরিশ্রম কম করে থাকি।…

Read More

তীব্র গরমে ঘামাচির পরই ছত্রাকজনিত চর্মরোগের নাম আসে। ঘাম ও ভেজা শরীর থেকেই এই রোগের উৎপত্তি। মূলত শরীরের ঘাম ছত্রাক জন্মানোর জন্য উপযোগী। চর্মরোগ প্রধানত তিনটি- দাদ, ছুলি ও ক্যানডিডিয়াসিস। এ রোগ সাধারণত ত্বকের বাইরের অংশকে আক্রমণ করে। কয়েক ধরণের চর্মরোগ বেশি হয়ে থাকে।যেমন- দাদ – ত্বকে গোলাকার চাকার মতো দাগ হচ্ছে দাদ। মধ্যখানের চামড়া স্বাভাবিক গোল দাগের পরিধিতে ছোট ছোট গোটা দেখা যায়, চুলকালে সেখান ক্ষত এর মতো হয়ে থাকে। মাথা, হাত-পা ও নখে এটি হতে পারে। ছুলি – ত্বকে হালকা বাদামি বা সাদা গোলাকৃতির দাগ দেখা যায়। এতে ত্বক সাদা দেখা যায় বলে অনেকেই শ্বেতী ভেবে থাকেন। ক্যানডিডিয়াসিস…

Read More

গরমের সময় অনেকের ত্বকে লাল ফুসকুড়ি দেখা দেয় সেগুলো হিট র‍্যাশ বা ঘামাচি নামে পরিচিত। ঘামাচি মূলত একধরণের চর্মরোগ এবং ত্বকের নিচের ঘামগ্রন্থিতে থাকা জীবাণুর কারণে মানবদেহে এই চর্মরোগের সূত্রপাত ঘটে।একারণে,ঘামাচি হলে প্রচণ্ড চুলকানি হয় এবং শরীর ঘামলে জ্বালা পোড়া অনুভূত হয়। সাধারণত সারা শরীরেই ঘামাচি হয়ে থাকে। তবে পিঠে, বুকে, কপাল, গলায় এবং ঘাড়ে বেশি দেখা যায়।তবে, শিশুদের সবচেয়ে বেশি ঘামাচি হয়। ময়লা, ধুলোবালি বা কোন কারণে যখন ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে যায় তখন সেখান থেকে ঘাম নিঃসৃত হতে পারে না।ফলে, তখন সেখানে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা প্রদাহ বেড়ে যায়। তখন লাল লাল গোটা বা ফুসকুড়ির মত ঘামাচি দেখা দেয়।…

Read More

অটোমাইকোসিস বা বহিঃকর্ণের ইনফেকশন সাধারণত ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ঘটে থাকে। এটা সাধারণত গরম এবং উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোতে বেশি হয়ে থাকে।অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, পুষ্টিহীনতা ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের অটোমাইকোসিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অটোমাইকোসিসে আক্রান্ত হলে কানে চুলকানি হয় ছত্রাকজাতীয় জীবাণুর সংক্রমণ থেকে। এদের মধ্যে এসপারজিলাস নাইজার নামক ছত্রাক উল্লেখযোগ্য। এ ক্ষেত্রে সেখানে ভেজা পত্রিকার পাতার মতো সাদা দলা কানের ভেতরের অংশে দেখা যায়। অটোমাইকোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণ- তবে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে কানে ব্যথা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। যেমন- অটোমাইকোসিসে আক্রান্ত হলে যেসকল উপসর্গ দেখা দেয়- অটোমাইকোসিসের চিকিৎসা ও প্রতিকার – আরও জানুন- -ফ্যাটি লিভারের কারণ ও…

Read More

নাক দিয়ে হঠাৎ করে রক্ত পড়ছে, এমন অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন অনেকেই। অনেকেই এমন রক্ত পড়া দেখে ভয় পেয়ে যান। নানা কারণেই নাক দিয়ে রক্ত বের হতে পারে।তবে প্রথমে আমাদের জানতে হবে ঠিক কোন কারণ গুলোর জন্য নাক থেকে রক্ত পড়ে।যেহেতু আমাদের নাকের ঝিল্লি আবরণের মধ্যে রক্তনালি থাকে সেহেতু শুষ্ক আবহাওয়ায় সামান্য আঘাত পেলেই রক্তপাত হতে পারে। এর কারণ হলো নাকের ঝিল্লি আবরণ অনেক পাতলা ও অগভীর। তাই সামান্য আঘাতে রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নাক থেকে রক্ত পড়ার কারণ- তাছাড়া আরও কয়েকটি কারণে নাক দিয়ে রক্ত বের হতে পারে। সেগুলো হলো— নাক দিয়ে রক্ত পড়লে কী করবেন? আঙুল দিয়ে নাকের দুটি…

Read More

ডেঙ্গু আমাদের কাছে একটি পরিচিত শব্দ। আর এই ডেঙ্গুজ্বরের মূল কারণ হলো এডিস মশা। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে শরীরে র‍্যাশ দেখা যায়, তবে ডেঙ্গুর অন্যান্য লক্ষণ ও উপসর্গের মধ্যে এটিকে সাইড সিম্পটম বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ধরা যায়। ত্বকের এই লক্ষণগুলো দু-তিন রকমের হতে পারে। যেমন- ১)প্রাথমিক পর্যায়ে মুখ ও গলাসহ বুকের ওপরের অংশ লাল হয়ে যেতে পারে, ভাইরাস ও রক্তের অ্যান্টিবডির সঙ্গে রি-অ্যাকশনের কারণে সাধারণত এমনটা ঘটে থাকে।পরবর্তী পর্যায়ে প্রধানত হাতের ও পায়ের পাতায় লালচে দাগের মতো হয়, যেগুলো গুটি আকারেও দেখা দেয়। পরে সেই গুটিগুলো ধীরে ধীরে শরীরের অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ২)ডেঙ্গুতে অন্য এক ধরনের র‍্যাশ দেখা যায় যাকে…

Read More

মানবদেহের মূল্যবান উপাদান হলো রক্ত।প্রতিনিয়ত একজন মানুষের রক্তের প্রয়োজন হয়ে থাকে।সাধারণত থ্যালাসেমিয়া,রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনায় আক্রান্ত রোগীর রক্তের প্রয়োজন পড়ে। আমাদের দেশে বছরে রক্তের চাহিদা প্রায় ৮-১০ লাখ ব্যাগ। দেশের জনসংখ্যার তুলনায় এ চাহিদা একেবারেই নগণ্য।ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই স্বেচ্ছা রক্তদাতা বৃদ্ধি করে এ চাহিদা মেটানো সম্ভব।বিশেষজ্ঞদের মতে, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যে কোনো ব্যক্তি প্রতি চার মাস পরপর রক্ত দিতে পারেন। নিয়মিত রক্তদানে বিভিন্ন ধরণের রোগের ঝুঁকি কমে যেতে পারে । যেমন- ১)বিনামূল্যে রক্ত ​​পরীক্ষা- রক্তদানের মাধ্যমে আপনি বিনামূল্যে রক্তের বিশ্লেষণও পান, যা এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি এবং সি সংক্রমণের পাশাপাশি…

Read More

ফ্যাটি লিভার খুব পরিচিত একটি রোগ। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমলে ফ্যাটি লিভার রোগ হয়ে থাকে। মূলত অ্যালকোহল সেবনকারীদের মাঝে এই রোগটি বেশি দেখা যায়। তবে গত কয়েক দশকে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।এটির মূল কারণ হলো সঠিক খাদ্যাভাসের অভাব ও জীবনযাত্রা। যাদের ওজন বেশি ও ডায়াবেটিস বা প্রি ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তাদের ফ্যাটি লিভার হওয়ার আশংকা বেশি। যকৃতে চর্বির আধিক্য হলে এর গাঠনিক বিপর্যয় ঘটে, তখন এটি ফ্যাটি লিভা্রে পরিণত হয়। কখনো কখনো যকৃতে শুধু চর্বি জমে থাকে, কিন্তু কোনো প্রদাহ থাকে না।পরে একপর্যায়ে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, তখন একে বলা হয় স্টিয়ো-হেপাটাইটিস। এ পর্যায়ে যকৃতের কোষগুলো ধীরে ধীরে…

Read More

আমাদের নিত্যদিনের জীবন যাত্রায় প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে দিনের বেশিরভাগ সময় আমরা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের সাথেই সময় কাটাই।যার কারণে আমাদের চোখের প্রতিদিন অনেক ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। স্ক্রিনের সামনে অত্যাধিক সময় কাটানোর সাথে সাথে পরিবেশের সংস্পর্শে আসার কারণেও আমাদের মধ্যে অনেকেরই কোনো না কোনো সময়ে শুকনো চোখের অস্বস্তি অনুভব করতে হয়।  Healthx BD শুষ্ক চোখ বা ড্রাই আই মূলত অপর্যাপ্ত টিয়ার কিংবা দুর্বল টিয়ার দ্বারা উৎপাদিত হয়ে থাকে যা অত্যন্ত অস্বস্তিকর এবং এমনকি নিত্যদিনের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।চোখের গ্রন্থি থেকে কোনো কারণে যদি পানি নিঃসরণ কম হয় তবে চোখ শুষ্ক হয়ে পড়ে। এই সমস্যার নাম ড্রাই আই সিনড্রোম বা শুষ্ক চোখ। বেশ…

Read More

আপনার আশেপাশে একটু খেয়াল করলে দেখবেন কেউ না কেউ সাইনাসের সমস্যায় ভুগছে।সাইনাসের সমস্যা মূলত নাকের হাড়ের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। নাকের আশেপাশে যে হাড়গুলো আছে তার ভেতরে এক ধরনের গহ্বর রয়েছে, যেগুলো বাতাসে পরিপূর্ণ থাকে। এই গহ্বরগুলোকে সাইনাস বলা হয়ে থাকে।নাকের দুইপাশ থেকে মাথা পর্যন্ত ম্যাক্সিলারি সাইনাস, স্পেনয়েন সাইনাস, ইথময়েড সাইনাস ও ফ্রন্টাল সাইনাস থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ম্যাক্সিলারি সাইনাস। সাইনাসের বিভিন্ন কাজ রয়েছে। যেমন- শ্বাস প্রশ্বাস এর মাধ্যমে আমরা যে বায়ু গ্রহণ করি সেগুলোর আদ্রর্তা ঠিক রাখা সাইনাসের কাজ। মানুষ যখন গরম আবহাওয়াতে থাকে তখন বাতাসকে ঠান্ডা করে আর ঠান্ডা বাতাসকে গরম বাতাসে রুপান্তরিত করে এই সাইনাস। শ্বাস…

Read More