হাঁটুর ব্যথা আমাদের দেশে একটি সাধারণ সমস্যা। যারা এই ব্যথায় ভোগেন, তারা মাঝে মাঝে সিঁড়ি ভাঙলে বা হাঁটলে ব্যথা আরও বাড়তে পারে। কিছু মানুষের হাঁটু ব্যথা কম হয়, আবার কিছু মানুষের বেশি। তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, এই সমস্যা শুধু বয়স্কদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; ৩০ বছর বয়সী যুবকদের মধ্যেও এর উপস্থিতি বেড়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, হাঁটুর ব্যথায় কম বয়সীরা বেশি ভুগছেন। অফিসে দীর্ঘ সময় বসে থাকার এবং ব্যস্ততার কারণে শরীরচর্চার অভাব এই সমস্যা সৃষ্টি করছে। তবে হাঁটুতে ব্যথা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই; কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যা হাঁটুর ব্যথা কমাতে সহায়তা করতে পারে।
হাঁটুর ব্যথা কমানোর জন্য ১০টি প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়:
১. স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন, কারণ অতিরিক্ত ওজন হাঁটুর উপর চাপ বৃদ্ধি করে এবং ব্যথা বাড়াতে পারে।
২. কম-প্রভাবের ব্যায়াম করুন যা হাঁটুকে সমর্থনকারী পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে, যেমন সাঁতার, সাইকেল চালানো বা মৃদু স্ট্রেচিং। উপযুক্ত ব্যায়ামের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পেশাদকের সাথে পরামর্শ করুন।
৩. ফোলা কমাতে এবং তীব্র ব্যথার সময় ১৫-২০ মিনিট বরফের প্যাক দিন। তাপ প্যাক বা উষ্ণ কম্প্রেস পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে।
৪. হাঁটু বিশ্রাম দিন এবং আক্রান্ত জায়গা তুলে রাখুন, বিশেষ করে ব্যথার পর।
৫. হাঁটুর উপর চাপ কমাতে ভালো কুশনিংসহ আরামদায়ক জুতা পরুন। প্রয়োজনে অর্থোটিক সন্নিবেশ ব্যবহার করুন।
৬. ফল, শাকসবজি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান, এবং হলুদকে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন।
৭. মেন্থল, ক্যাপসাইসিন বা আর্নিকা যুক্ত টপিকাল ক্রিম ব্যথা উপশমে সহায়তা করতে পারে।
৮. হাঁটুর ব্যথার কারণের ওপর নির্ভর করে হাঁটু বন্ধনী ব্যবহার করে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
৯. যোগব্যায়াম নমনীয়তা, ভারসাম্য এবং শক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে, যা হাঁটুর ব্যথা হ্রাসে উপকারী।
১০.উষ্ণ জলে স্নান করলে, বিশেষ করে ইপসম সল্ট বা এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে, পেশী শিথিল হতে পারে এবং হাঁটুর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।Healthx BD
আরও জানুন-
–কর্টিসল হরমোন কী? এটির ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে শরীরে কি প্রভাব ফেলে?