“এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপসগুলির মধ্যে একটি: সকালে উজ্জ্বল আলো আপনার অভ্যন্তরীণ ঘড়িকে পুনরায় সেট করে এবং এটি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে আগে ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করবে,” ক্লাইন বলেছেন। উত্সাহী সঙ্গীত বাজান, আপনার মুখে ঠাণ্ডা জল ছিটিয়ে দিন, বা ঝরনায় লাফ দিন, কার্নি বলেছেন। HEALTHxBD
দিনে ঘুমিয়ে রাতে জেগে থাকা কি অস্বাস্থ্যকর
উপরন্তু, একটি বিপরীত ঘুমের সময়সূচী শরীরের স্বাভাবিক ঘুম-জাগরণ চক্রকে ব্যাহত করে একজনের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি মেলাটোনিনের মাত্রা হ্রাস করতে পারে, হরমোন যা ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে এবং ঘুমের ব্যাধি যেমন স্লিপ অ্যাপনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। HEALTHxBD
বারবার ঘুম আসে কেন
হাইপারসোমনিয়া মানে অতিরিক্ত ঘুম। অনেকগুলি বিভিন্ন কারণ রয়েছে, আমাদের সমাজে সবচেয়ে সাধারণ হল অপর্যাপ্ত ঘুম। এটি শিফটওয়ার্ক, পারিবারিক চাহিদা (যেমন একটি নতুন শিশু), অধ্যয়ন বা সামাজিক জীবনের কারণে হতে পারে। অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে ঘুমের ব্যাধি, ওষুধ এবং চিকিৎসা ও মানসিক রোগ । HEALTHxBD
আরো পড়ুন:
- রাতে ঘুম ভেঙে মাথাব্যথা?
- চিকিৎসায় বাড়ছে হাইটেক প্রযুক্তির ব্যবহার
- কোন রোগের জন্য কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেন?
ভোর ৪ টায় ঘুম থেকে উঠলে ঘুম আসে না কেন
যে বিষয়গুলো মানুষকে মাঝরাতে জেগে রাখে সেগুলি আপনার সার্কাডিয়ান রিদম বা ঘুমের চক্রের মতো প্রাকৃতিক শরীরের ছন্দের সাথে ছেদ করতে পারে। অনিদ্রা, স্ট্রেস, বার্ধক্য, হরমোন, ওষুধ এবং ব্যথা আপনার রাতের ঘুমকে প্রভাবিত করে এমন সম্ভাব্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে।
১২ ঘন্টা ঘুমায় কেন
হাইপারসোমনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের তাদের সেরা অনুভব করতে প্রতি রাতে 10 থেকে 12 ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হতে পারে। যেহেতু প্রতিদিনের জীবনে HEALTHxBD এমন দায়িত্বগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যা এতটা বিশ্রামের অনুমতি দেয় না, তাই দীর্ঘ ঘুমানরা দিনের বেলা অতিরিক্ত ক্লান্ত বোধ করতে পারে এবং ছুটির দিনগুলি ধরে রাখতে পারে, একবারে 15 ঘন্টার মতো ঘুমাতে পারে।
আরো পড়ুন:
- রাতে ঘুম ভেঙে মাথাব্যথা?
- চিকিৎসায় বাড়ছে হাইটেক প্রযুক্তির ব্যবহার
- কোন রোগের জন্য কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেন?
আমরা অনেকেই মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমাই। তারপর যেই অ্যালার্ম বাজে অমনি মোবাইলটা হাতড়ে কোনোরকমে হাতে পেয়েই অ্যালার্ম বন্ধ করে ‘পাঁচ মিনিট’ ঘুমাই। তারপর যখন ঘুম থেকে উঠি, দেখি, যাহ, পেরিয়ে গেছে এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিট! তাই অ্যালার্মটা হাতের নাগালের বাইরে রাখুন। যাতে অ্যালার্ম বন্ধ করার জন্য বিছানা ছেড়ে উঠতে হয়। একবার যখন বিছানা ছেড়ে উঠেই পড়েছেন, তাহলে জানালার পর্দা সরিয়ে দিন। আড়মোড়া ভাঙুন। জানালার রোদ চোখে–মুখে আছড়ে পড়লে, বারান্দার সতেজ বাতাস শরীর স্পর্শ করতেই ঘুম মিলিয়ে যাবে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার জন্য রাতে আগে আগে ঘুমানো জরুরি। আর রাতে আগে আগে ঘুমানোর জন্য ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টুইটারের ফাঁদ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। রাতে বই পড়ার অভ্যাস করতে পারেন। সন্ধ্যা ছয়টার পর চা–কফি নয়। সাতটা–আটটার ভেতর সারুন রাতের খাওয়া। ছয়টায় উঠতে চাইলে যে দশটার ভেতর ঘুমিয়ে পড়তে হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় সকালে কী কী করবেন, মনে মনে তার একটা পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলুন। তাহলে ঘুমের মাঝেই আপনার অবচেতন মস্তিষ্ক দেহঘড়ির মাধ্যমে সংকেত দেবে, ঠিক সময়ে আপনাকে জাগিয়ে দেবে।
আরো পড়ুন:
- রাতে ঘুম ভেঙে মাথাব্যথা?
- চিকিৎসায় বাড়ছে হাইটেক প্রযুক্তির ব্যবহার
- কোন রোগের জন্য কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেন?
যাঁরা নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠতে চান, তাঁদের জন্য কিছু পরামর্শ থাকছে এখানে—
* রাত জেগে টেলিভিশন দেখার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। এমনকি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ ইন্টারনেটের রাতজাগা ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
* শোয়ার ঘর থেকে কম্পিউটার বা মুঠোফোন দূরে রাখুন।
* ঠিকমতো ঘুমানোর জন্য ঘরের পরিবেশও ঠিক রাখা প্রয়োজন। ঘর অন্ধকার ও ঠান্ডা থাকলে ঠিকমতো ঘুমানো যাবে।
* রাতের খাবার আটটা থেকে নয়টার মধ্যেই শেষ করতে হবে। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ঘুমাতে যান।
* একজন সুস্থ মানুষের জন্য আট ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। তাই সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়লে অনেক সকালেই ঘুম থেকে ওঠা যাবে।
* সকালে ওঠার অভ্যাস করার জন্য অ্যালার্ম ঘড়ি রাখতে পারেন শোয়ার ঘরে। তবে ঘড়িটা অবশ্যই খাট থেকে খানিকটা দূরে রাখুন, যাতে করে সেটা বাজলে উঠে গিয়ে বন্ধ করতে হয়।
* সকালে ওঠার অভ্যাসের শুরুতেই বড়সড় পরিবর্তন না করে সময় নিয়ে অভ্যাস করুন। প্রথম দিকে নিয়মিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে ওঠার চেষ্টা করুন। এর কয়েক দিন পরে আবার ১৫ মিনিট এগিয়ে নিন। এভাবে ওঠার চেষ্টা করলে সেটা সহজেই অভ্যাসে রূপ নেবে।
* সকালে দ্রুত ওঠার জন্য আগেভাগে ঘুমিয়ে পড়া দরকার। তাহলে ঘুমের সমস্যা হবে না।
* অ্যালার্ম বাজার পর মস্তিষ্ককে ভাবার সময় না দিয়ে দ্রুত উঠে রুমের বাইরে চলে আসুন। সকালে উঠেই ব্রাশ করা বা অন্য কোনো কাজ শুরু করুন।
* সকালে নিজের জন্য একটা ভালো উপলক্ষ তৈরি রাখুন। যেমন গান শোনা, লেখার অভ্যাস ইত্যাদি; যা নিজেকে আকৃষ্ট করবে এমন কোনো বিষয় ভেবে রাখুন।
* সকালে উঠে মানসিক প্রশান্তির জন্য নিজেই একটু চা-কফি তৈরি, সূর্যোদয় দেখা, বাগান করা, নাশতা তৈরি বা বই পড়ার মতো কাজও করতে পারেন।
* বেশি রাত করে ঘুমালে চেহারায় তার ছাপ পড়ে আর দ্রুত ঘুমিয়ে সকালে উঠলে চেহারা ও মন ভালো থাকে।