তৈলাক্ত ও শুষ্ক ত্বক সহজে বোঝা গেলেও মিশ্র ত্বক যাচাই করা বেশ কঠিন।
ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ‘স্কিনল্যাব’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ডা. যমুনা পাই এই বিষয়ে বলেন, “মিশ্র ত্বক মানে হলে মুখের কিছু অংশ তৈলাক্ত ও চিটচিটে থাকে এবং বাকি অংশ শুষ্ক ও খসখসে হয়।”
সাধারণত ‘টি জোন’ অর্থাৎ কপাল, নাক ও থুতনির অঞ্চলে তেল উৎপাদন বেশি হয়। আর গালের অংশ শুষ্ক থাকে।
সময়ের সাথে সাথে তেল গ্রন্থি সংকুচিত হয় ও ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই শুষ্ক হয়ে যায়। নানান বিষয় যেমন- হরমোন, মাসিক চক্র ও আবহাওয়ার পরিবর্তন ত্বককে তৈলাক্ত থেকে শুষ্ক করে তোলে।
অধিকাংশ মানুষই নিজের ত্বকের ধরন সম্পর্কে সচেতন নয়। মিশ্র ত্বকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও তীব্র। ত্বকের ধরন যাই হোক না কেনো সাধারণ ত্বক পরিচর্যা- ক্লেঞ্জিং, ময়েশ্চারাইজিং, ‘সান প্রোটেকশন’ এবং সক্রিয় উপকরণ ব্যবহার করা আবশ্যক।
রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার ছাড়াই এখন সুন্দর হবে আপনার ত্বক। কীভাবে? এ জন্য নিয়মিত আপনাকে স্মুদি পান করতে হবে। স্মুদি ভেতর থেকে ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে, এমনটাই বলছিলেন পুষ্টিবিশেষজ্ঞ জেনিফার বিনতে হক। দুই থেকে তিন ধরনের ফলসহ অন্যান্য উপকরণ থাকার কারণে স্মুদিতে থাকে প্রচুর ফাইবার। এই ফাইবারের কারণে পেট থাকে পরিষ্কার। যে কারণে ব্রণের মতো সমস্যা সহজে এড়ানো যায়। ফল, শাক, দই, সবজির মিশ্রণে তৈরি স্মুদিতে থাকা পানি শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রেখে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। যেভাবে বানাবেন এই স্মুদি…
সকালের রুটিন
ত্বকের বাড়তি তেল পরিষ্কার করতে মৃদু ফেইস ওয়াশ ব্যবহার ব্যবহার করতে হবে। কড়া ক্লেঞ্জার বা সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এর ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হ্রাস পায়।
তেল নিয়ন্ত্রণ করতে সপ্তাহে একবার স্যালিসাইলিক ভিত্তিক ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য আর্দ্রতা রক্ষা করা জরুরি। হায়ালুরনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হালকা জেল ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে ত্বক চিটচিটে হওয়া ছাড়াই আর্দ্র থাকে।
সব ধরনের ত্বকে সব মৌসুমেই প্রয়োজন এসপিএফ বা সানস্ক্রিন। মিশ্র ত্বকে দিনে দুবার ‘ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন’ ব্যবহার করা উচিত।
এসপিএফ ৩০ বা এর বেশি সমৃদ্ধ ম্যাট সানস্ক্রিন ত্বকের টি জোনের লোমকূপ আবদ্ধ না করেই রোদ থেকে সুরক্ষিত রাখে।
মেইকআপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে হালকা, নন-কমেডোজেনিক পণ্য বাছাই করা উচিত। দিনে টি জোনের বাড়তি তেল শুষে নিতে ব্লোটিং পেপার ব্যবহার করা যায়।
তেল কমাতে পাউডার ব্যবহার লোমকূপ আবদ্ধ করে ব্রণ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।
সন্ধ্যার রুটিন
রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেইকআপ ভালো মতো তুলে নিতে হবে। মৃদু ক্লেঞ্জার ব্যবহার করে তা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
সপ্তাহে একবার মৃদু স্ক্রাব ব্যবহারে ত্বকের ময়লা, দূষণ ও মৃত কোষের স্তর দূর হয়। এতে ত্বক দেখতে সজীব লাগে।
রাতে ত্বকের যত্নে সেরাম বা ক্রিম ব্যবহার করা প্রয়োজন। নায়াসিনামাইড, ভিটামিন সি এবং রেটিনল সমৃদ্ধ পণ্য মিশ্র ত্বকের জন্য উপকারী।
কের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সামান্য ‘ইমোলিয়েন্ট’ ব্যবহার করা যায়। এতে ত্বক আর্দ্র থাকে। আর পরদিন সকালে চকচকে আভা দেয়।