শরতের শেষ বেলায়ও হঠাৎ বৃষ্টি। শহর ছাড়লে আবার মৃদুমন্দ বাতাসে হালকা শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন যেন অনুভব করা যায়। দিনের বেলা গরমে নাকাল হলেও শেষ রাতে শীত শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। মৌসুম পরিবর্তনের এ সময় জ্বর কাশি-সর্দির প্রবণতা বাড়ায় নতুন কিছু নয়। প্রতিবছরই এমন হয়। তবে এখন বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। করোনাকালে জ্বর-কাশি মানেই বিভীষিকা। ওদিকে ডেঙ্গুর মৌসুমও শেষ হয়ে যায়নি। আর ফ্লু তো আমাদের দেশের সুপরিচিত সমস্যা। এদিকে পূজার ছুটিতে অসুস্থ হলে ঠিক মতো উদযাপন করতে পারবেন না ।
তাই এ ৫টি টিপস মেনে চললে খুব সহজেই আপনি যেকোনো উৎসব উদযাপন করতে পারবেন।
১) হাত ধুবেন:খাবার খাওয়ার আগে হাত ধুয়ে ফেলুন। হাতের তালুতে সবচেয়ে বেশি জীবাণু থাকে। তাই সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া দরকার। এর ফলে সংক্রমণের হার কমানো যাবে। রাস্তায় বের হলে হাত ধোয়ার উপায় না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারবেন।
২) স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন: স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ,ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া আর শরীরচর্চা করুন। পাশাপাশি আপনার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়বে, এতে আপনার সর্দি-কাশিতে কম ভুগতে হবে।
৩) সঠিক ডায়েট মেনে চলুন: পূজার আগে হোক বা পূজার সময়, ডায়েটের সঙ্গে অবহেলা করলেই রোগের ঝুঁকি বাড়বে। এসময় প্রতিদিন খাবারে ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, প্রোবায়োটিক ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এসব পুষ্টি আপনার দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াবে । বিশেষ করে, জ্বর-সর্দির মতো ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করবে।
৪) ভিড় এড়িয়ে চলুন: পূজাতে যত বেশি ভিড় এড়িয়ে চলবেন, আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ভিড়ের মধ্যে বহু মানুষের ঘাম, শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করবে।
৫) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন: দরজার হাতল, সুইচ, কোমডের ফ্লাশ ইত্যাদি জায়গা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় এবং এতেই রোগ জীবাণু লুকিয়ে থাকে। তাই এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। পাশাপাশি বাইরে থেকে আসার পর হাত ধুয়ে ফেলুন। আমাদের রোজকার জীবনে ফোনই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় ২৪/৭ এবং এতে জীবাণুও বাস করে। ফোন পরিষ্কার রাখুন।