শীত আসায় শুরু হয়েছে সর্দি–কাশির প্রকোপ। ওদিকে আছে অমিক্রন। অমিক্রনের একটি অন্যতম উপসর্গ হলো খুসখুসে কাশি, গলায় ব্যথা ও অস্বস্তি। অনেকে এ শুকনা কাশিতে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন।
এ সময় জ্বর, কাশি যা–ই হোক, আইসোলেশনে থাকবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে ওষুধ খাবেন না। কাশি কমাতে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
মধু: মধুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য কাশি কমাতে সাহায্য করে। রোজ এক চামচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন। অথবা লিকার চায়ে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
হলুদ: কাশি নিয়ন্ত্রণে এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়া এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি দ্রুত কাশি কমাতে সাহায্য করে।
আদা: আদার অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান গলার অস্বস্তিকর ভাব দূর করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামান্য পরিমাণ আদা কুচি কুচি করে কেটে নিন। তারপর এক কাপ পানিতে কুচি আদা গরম করে নিন। খাওয়ার আগে ঠাণ্ডা হতে দিন। কাশিতে আদা খুবই উপকারী।
পেঁয়াজ: খুসখুসে কাশি দূর করতে পেঁয়াজ খুবই কার্যকর। আধচামচ পেঁয়াজের রস ও এক চা চামচ মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে চায়ের মতো দিনে দুইবার করে পান করুন। পেঁয়াজের ঝাঁঝ খুসখুসে কাশি কমাতে সহায়তা করবে।
রসুন: রসুন খুসখুসে কাশি সারাতে দারুণভাবে কাজ করে। রসুনে থাকা এক্সপেকটোরেন্ট এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কাশি উপশমে কাজ করে। এক চা চামচ ঘিতে রসুনের পাঁচটি কোয়া কুচি করে হালকা ভেজে কুসুম গরম অবস্থায় খেয়ে নিন।
গার্গল করা: গার্গল করলে গলাব্যথা কমে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে ১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন। এভাবে বিরতি দিয়ে কয়েকবার করুন। কাশি কমে যাবে।
তুলসী: তুলসীপাতাতে ভিটামিন সি ও জিংক আছে, যা প্রদাহ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। রোজ তিন–চারটি তুলসীপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা মধুর সঙ্গে তুলসীর রস মিশিয়ে কিংবা চায়ে দিয়েও খেতে পারেন। তুলসী চা–ও পাওয়া যায়।
জেনে নিন
এ সময়ের কফ–কাশি কমাতে প্রচুর তরল পান করবেন। যেমন গরম স্যুপ, মসলাপানি, আদা–লেবু দিয়ে চা, হারবাল চা ইত্যাদি বারবার পান করুন। এ ছাড়া গরম লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করুন, গরম পানির ভাপ নিন। গড়গড়া করার জন্য এক গ্লাস কুসুমগরম পানিতে আধা চা–চামচ লবণ মেশাবেন। ধূমপান বর্জন করুন।