অটোমাইকোসিস বা বহিঃকর্ণের ইনফেকশন সাধারণত ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ঘটে থাকে। এটা সাধারণত গরম এবং উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোতে বেশি হয়ে থাকে।অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, পুষ্টিহীনতা ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের অটোমাইকোসিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
অটোমাইকোসিসে আক্রান্ত হলে কানে চুলকানি হয় ছত্রাকজাতীয় জীবাণুর সংক্রমণ থেকে। এদের মধ্যে এসপারজিলাস নাইজার নামক ছত্রাক উল্লেখযোগ্য। এ ক্ষেত্রে সেখানে ভেজা পত্রিকার পাতার মতো সাদা দলা কানের ভেতরের অংশে দেখা যায়।
অটোমাইকোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণ-
- কানে ব্যথার সবথেকে বড় কারন হলো কানে সংক্রমণ।
- কানের সংক্রমণ মূলত ইউস্টাচিয়ান টিউবে তরল পদার্থ জমার কারণে হয়ে থাকে।
- সর্দির কারণেও কানের সংক্রমণ হয়ে থাকে।
তবে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে কানে ব্যথা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। যেমন-
- দাঁতে ব্যথা।
- কানে পানি জমা।
- দুর্ঘটনা বসত কারণে যদি কানে খোঁচা লাগার কারণে হয়ে থাকে।
- টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট সিন্ড্রোমের কারণে হয়ে থাকে।
- চোয়ালের বাত ও ব্যথার কারণেও কানে ব্যথা হয়ে থাকে।
অটোমাইকোসিসে আক্রান্ত হলে যেসকল উপসর্গ দেখা দেয়-
- কানে প্রচন্ড চুলকানি হয়।
- যদি কানে ব্যথা হয় তাহলে কান থেকে গন্ধযুক্ত পানি পড়ে ।
- মাঝে মাঝে ফাংগাল ডেব্রিস ও পূঁজ জমা হয়ে কান বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- রাস্তায় ফুটপাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনেকে কান পরিষ্কার করেন যার কারণে অটোমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়।
অটোমাইকোসিসের চিকিৎসা ও প্রতিকার –
- কানে চুলকানি কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের এন্টিহিস্টামিন থেকে সঠিক ওষুধ বেছে নিতে হবে।
- এছাড়াও কানে যদি ব্যথা হয় ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে বা কানে সংক্রমণ হয় তবে ব্যথাজনিত ওষুধ নিতে হবে।
- রোগীর ডায়াবেটিস থাকলে তার যথাযথ চিকিৎসা করতে হবে, নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- ওষুধ ব্যবহার শেষে শিডিউল অনুযায়ী পুনরায় কান পরীক্ষা করাতে হবে।
- ইএনটি বিশেষজ্ঞ দ্বারা কান ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে যাতে করে কানের মধ্যে ফাংগাল ডেব্রিস্ না থাকে।
- কানে যাতে ময়লা পানি না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ ভেজা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ছত্রাক খুব দ্রুত বৃদ্ধি লাভ করে এবং কান বন্ধ করে দেয়। Healthx BD
আরও জানুন-
–ফ্যাটি লিভারের কারণ ও প্রতিরোধ
–হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে? জানুন প্রতিকার
–শীতকালে হাঁপানি রোগীরা ভালো থাকবেন যেভাবে