- বারবার খিদে লাগে, ওজন বেশি
চিনিতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে এবং বেশি চিনি খাওয়ার ফলে বারবার ক্ষুধা অনুভব হয়। চিনি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বল্প সময়ের জন্য বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু ফাইবারের অভাবে এর প্রভাব স্থায়ী হয় না। ফলে আমাদের ‘সুগার স্পাইক’ হয়, যা আবার ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে আমরা বেশি খাবার খেয়ে ওজন বাড়িয়ে ফেলি।
- ত্বকের স্বাস্থ্য নষ্ট
চিনি খাওয়ার ফলে শুধু ইনসুলিনের মাত্রাই বাড়ে না, বরং রক্তে গ্রোথ ফ্যাক্টর-১ (জিএফ-১) নামক একটি হরমোনও বাড়তে শুরু করে। ইনসুলিন এবং জিএফ-১ সেবেসিয়াস গ্রন্থিগুলোর কার্যক্রমকে উদ্দীপ্ত করে, যা ত্বকের প্রোটিনের ক্ষতি করে। এর ফলে ব্রণসহ নানা ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। তাই যদি আপনার ব্রণ হয়, তবে এটি একটি সংকেত যে আপনি অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করছেন।
- মুড সুইং, বদমেজাজ
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়লে ইনসুলিনের নিঃসরণও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়। কখনও কখনও এটি এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে রক্তের শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক স্তরের নিচে চলে যায়, যা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কারণ হতে পারে। এই অবস্থায় ক্ষুধা অনুভব হয় এবং মুডের পরিবর্তন দেখা দেয়। ফলে হঠাৎ রেগে যাওয়া, অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়া এবং মেজাজ খারাপ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
- রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়া
সাধারণত ক্ষুদ্রান্ত্রের মাধ্যমে চিনি শোষিত হয়। কিন্তু যখন গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের মতো সাধারণ চিনির পরিমাণ ক্ষুদ্রান্ত্রের ধারণক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন এই চিনি বৃহদন্ত্রে শোষিত হয়। পুষ্টিবিশেষজ্ঞদের মতে, এই চিনি বৃহদন্ত্রে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে, যার ফলে এন্ডোটক্সিন নামের বিষ উৎপন্ন হয়, যা লাইপোপলিস্যাকারাইড হিসেবেও পরিচিত। এটি রক্তে প্রবেশ করে নীরব প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে এবং বার্ধক্যের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
- দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে ‘অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন প্রোডাক্টস’ (এজিইএস) তৈরি হয়। এর ফলে বয়স ৩০-এর পর ত্বকের স্বাভাবিক ক্ষয় পূরণ হতে পারে না, যা দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।Healthx BD
আরও জানুন-
–বোন টিবি বা হাড়ে যক্ষ্মা হলে বুঝবেন কীভাবে
–সন্তান জন্মের পর মানসিক সমস্যায় ভোগেন পুরুষরাও
–প্রায়ই হাত-পায়ে ব্যথা হচ্ছে, কীভাবে বুঝবেন বড় কোনো রোগের লক্ষণ