তুলসী পাতা সম্পর্কে সবাই মোটামুটি জানেন যে এটি কতটা উপকারী। অনেকের বাড়ির বারান্দা বা ছাদে এই ঔষধি গাছটি থাকে। তুলসী পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় এটি ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যাদি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। সাধারণ সর্দি-কাশির চিকিৎসাতেও তুলসী পাতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তবে, তুলসী পাতা সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে এবং এর খাওয়ার ফলে কিছু সমস্যা হতে পারে।
যারা তুলসী পাতা খাবেন না –
১)গর্ভবতী নারীরা:
যদিও তুলসী পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে, গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়া পরামর্শযোগ্য নয়। তুলসী পাতা ব্যবহারে ভ্রূণের ক্ষতি হতে পারে এবং জরায়ু সংকুচিত হয়ে যেতে পারে, যা মিসক্যারেজের কারণও হতে পারে। তাই গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তুলসী পাতা এড়িয়ে চলা উচিত।
২)ডায়াবেটিসের রোগীরা:
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, তুলসী পাতা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী, কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু যারা ইতোমধ্যেই রক্তে চিনির পরিমাণ কমানোর ওষুধ গ্রহণ করছেন, তারা তুলসী পাতা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। তুলসী পাতা খেলে সুগারের মাত্রা অতিরিক্ত কমে যেতে পারে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩)রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবনকারীরা:
তুলসী পাতা রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে। যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ ব্যবহার করেন না, তারা নির্দ্বিধায় তুলসী পাতা খেতে পারেন। তবে যারা নিয়মিত রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের তুলসী পাতা একসাথে খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি অতিরিক্ত রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এছাড়া, যে কোনো ধরনের সার্জারির দুই সপ্তাহ আগে থেকে তুলসী পাতা খাওয়া বন্ধ রাখা উচিত, অন্যথায় অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪)নিম্ন রক্তচাপ:
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যারা ভোগেন, তারা তুলসী পাতা খেলে উপকার পেতে পারেন। কিন্তু যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে, তারা এ ভেষজটি এড়িয়ে চলুন। কারণ, তুলসী পাতায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা নিম্ন রক্তচাপের রোগীদের সমস্যা আরও বাড়াতে পারে।
৫)অন্যান্য শারীরিক সমস্যা:
অতিরিক্ত পরিমাণে তুলসী পাতা খেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, যেমন লিভারের ক্ষতি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, দ্রুত হৃদস্পন্দন, এবং খিঁচুনি। কিছু গবেষণার দাবি, অনেক তুলসী পাতা খেলে উর্বরতা শক্তি কমতে পারে। তাই তুলসী পাতা বেশি পরিমাণে খাওয়ার থেকে বিরত থাকা উচিত এবং খাওয়ার সময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।Health BD
আরও জানুন-