এই কনকনে শীতের সকালে কে এই বা উঠতে চায় ঘুম থেকে। কিন্তু কি আর করা; যদি কর্মক্ষেত্রে যাওয়া কিংবা পড়াশুনার জন্য আপনাকে বাধ্য হয়ে আরামের ঘুম ছেড়ে উঠতেই হয়। সকালে ওঠার বহুবিধ সুবিধা আছে।
ঘুম থেকে উঠে কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করুন। হাঁটাহাঁটি করে এসে বিশ্রাম নিতে নিতে এক কাপ চায়ের সঙ্গে বিস্কিট কিংবা সামান্য মুড়ি খেয়ে নিতে পারেন। বিশ্রাম শেষে এবার গোসল সেরে নিন। এখন যেহেতু শীত তাই গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। দেখবেন শরীরটা অনেক হালকা ও ঝরঝরে হয়ে গেছে। এবার অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন।
এভাবে নিয়মিত কয়েকদিন অভ্যাস করুন। দেখবেন সকালে ঘুম থেকে ওঠার আনন্দটাই আলাদা।
সকালে ওঠার কিছু করণীয়—
১.কখন উঠতে চান আগে সেটা ঠিক করুন:
আপনি হয়তো সকাল ছয়টায় উঠতে চান। কিন্তু কোনোভাবে আপনি রাতে ভাবলেন সাড়ে পাঁচটায় উঠলে ভালো হয়। এখানেই ভুল করছেন। যখন উঠতে চান, সেটাই চিন্তা করে রাখুন। অবচেতন মন কোনোভাবে দ্বিধায় থাকলে আপনার ঘুমে দারুণভাবে ব্যাঘাত ঘটবে। দেখবেন হয়তো ছয়টায় ওঠার জায়গায় আপনার চারটায় ঘুম ভেঙে গেল। তখন আবার ঘুমালেন, আবার উঠলেন অনেক পরে।
২. ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না:
ঘুমাতে যাওয়ার আগে পরদিন সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে বলে মনের উপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। বারবার যদি ভাবেন কাল সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে তাহলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে। ঘুমাতে দেরি হবে, আর পরদিন তাড়াতাড়ি ওঠার সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে।
৩. ঘরে সূর্যের আলো আসার ব্যবস্থা রাখুন:
সকালে যেন ঠিকমত সূর্যের আলো বা রোদ এসে পড়ে। ঘর যত অন্ধকার রাখবেন, ঘুম থেকে উঠতে ততো দেরি হবে।
৪. ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু যোগব্যায়াম করুন:
বেশকিছু যোগব্যায়াম আছে যা করলে তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙে।
৫. প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার একটা নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন:
কাজ আছে বলে তাড়াতাড়ি উঠব, কাজ নেই বলে একটু বেশি ঘুমিয়ে নিই। এই নিয়ম তৈরি না করাই ভাল।
৬. অ্যালার্ম ক্লক বা ফোনের অ্যালার্ম টোন স্বাভাবিক রাখুন:
অ্যালার্ম ক্লক বা ফোনের অ্যালার্ম টোন কিন্তু ঘুম থেকে সঠিক সময়ে ওঠার একটা বড় অস্ত্র। ধরুন অ্যালার্ম টোনটা খুব চড়া আর তীব্র। শুনেই আপনার খারাপ লাগছে। এমন অ্যালার্মে আপনার ঘুম ভাঙবে ঠিকই কিন্তু হুশ আসবে না।
৭.পানি পান করুন:
ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে এক গ্লাস পানি পান করুন।
৮.ঘুম ভাঙলে খাট থেকে উঠে একটু হাঁটাচলা করুন:
ঘুম ভাঙলে খাট থেকে নেমে একটু হাঁটাচলা করুন। দুই থেকে তিন মিনিট হাঁটলে ঘুমঘুম ভাবটা কেটে যাবে।