বিট, মিষ্টি আলু, গাজর, শালগমের মতো নানা সবজি শীতে আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। এসব সবজিতে থাকা ভিটামিন ও নানা পুষ্টি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। শীতের সময় বেশি করে টকজাতীয় ফল খেতে পারেন। কমলা, বরই, পেয়ারা ভিটামিন সির দারুণ উৎস হতে পারে।
তবে শীতে যা যা আপনার শরীরের জন্য উপকারী হবে:
ঘুমের ঘাটতি দূর: ঘুমের ঘাটতি বর্তমান যুগের একটি সাধারণ সমস্যা। শীতকালে ঠান্ডার কারণে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা কমে যায়। এতে সহজেই ঘুম চলে আসে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘরের তাপমাত্রা যদি ১৫.৫-১৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকে, তাহলে সবচেয়ে ভালো ঘুম হয়। আমাদের দেশে এ তাপমাত্রা শীতকালেই সম্ভব।
ক্ষুধা বৃদ্ধি: শীতকালে স্বাভাবিকভাবে মানুষের ক্ষিদে বেড়ে যায়। ফলে খাবার গ্রহণের প্রবণতাও বাড়ে। এতে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। এতে শরীর ভেতর থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। রোগভোগের আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
ওজন হ্রাস:যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজনের কারণে চিন্তিত, শীতকাল তাদের জন্য উপকারী একটি ঋতু। শীতে এমনিতেই ওজন কমে যাওয়ার একটা সুযোগ থাকে। ঠান্ডার কারণে শরীর প্রতি মুহূর্তে নিজেকে গরম রাখার চেষ্টা করে। এ কাজ করতে গিয়ে শরীরের চর্বি গলতে থাকে। এতে ওজনও কমে আসে। আবার শীতে অনেক সময়ই কাঁপুনি দেখা দেয়। সাধারণভাবে ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করলে যে পরিমাণ চর্বি ঝরে, একই পরিমাণ চর্বি ঝরে প্রায় ১৫ মিনিট কাঁপুনি হলে। ফলে শীতকালে শরীরের চর্বি কমে যায়।
শরীরের যন্ত্রণা হ্রাস: ঠান্ডা মৌসুমে শরীরের ভেতরের প্রদাহ কমতে থাকে। এ কারণে শীতকালে যে কোনো ধরনের যন্ত্রণা কমতে একেবারেই সময় লাগে না।
মানসিক অবসাদ দূর: ঠান্ডায় খুব বেশি প্রয়োজন না হলে অনেকেই ঘর থেকে বের হতে চায় না। এ কারণে না চাইলেও অনেকটা সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটানো যায়। এতে স্বাভাবিকভাবেই স্ট্রেস কমতে শুরু করে এবং ব্রেনের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়।
মশাবাহিত রোগের প্রকোপ হ্রাস: সারাবছরই দেশের বিশেষ করে ঢাকার মানুষ মশার যন্ত্রণায় অস্থির থাকে। তবে শীতকালে ঠান্ডায় মশা এত বেশি কাবু হয়ে পড়ে যে, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগগুলোর প্রকোপ কমে আসে।
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি: শীতকালে ত্বকের ভেতরে থাকা শিরায় রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। এতে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত ত্বকের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে।