আচমকা ঘুম ভেঙে মাথাব্যথা শুরু হয়? প্রায় রাতেই এমন ঘটে? বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হতাশা ও বিষণ্নতাই এ সমস্যার কারণ। মানসিক চাপ ও হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারলেই এ রকম মাথাব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে।
আসুন জেনে নিই যেসব কারণে মাথাব্যথা হতে পারে-
১. নাক ও চোখের চারপাশে হাড়ের ভেতরের বায়ুপূর্ণ কুঠুরিকে সাইনাস বলা হয়। যখন এই সাইনাসগুলোতে প্রদাহ হয়, তখন তাকে বলা হয় সাইনোসাইটিস। আইটিস অর্থ ইনফ্লামেশন। প্রধান সাইনাসগুলো জোড়ায় জোড়ায় থাকে। সাইনাসে প্রদাহ হলে নাক দিয়ে সর্দি পড়তে পারে এবং মাথা ব্যথা করতে পারে। সাইনাসের মধ্যে পুজ জমতে পারে, টিউমার হতে পারে।HealthxBD
২. সুস্থ থাকতে কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা ঘুমাতে বলেন চিকিৎসকরা। রাতে ঘুম ভালো না হলে সকালে মাথাব্যথার সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া চোখ জ্বালাপোড়া ও চোখ লাল হয়েও যেতে পারে। HealthxBD
৩. কোনো কারণে যদি ঘাড়ের পেশির ওপর বেশি ধকল যায়, তবে মাথাব্যথা হতে পারে। যেমন– বালিশের সমস্যা ও বেকায়দায় ঘুমানোর কারণে ঘাড়ের কোনোHealthxBD পেশির ওপর যদি রাতের লম্বা একটা সময় টান পড়ে থাকে, তবে সেটি থেকেও ঘাড় আটকে যাওয়া, মাথাব্যথা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
৪. মস্তিষ্কে ‘টিউমার’ হলে বাড়তি চাপ থেকে সকালে মাথাব্যথা হতে পারে। ‘টিউমার’ যদি ফুলে থাকে, তবে তা মস্তিষ্কের চাপ সৃষ্টি করে, যে কারণে দিনে একাধিকবার মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে।
৫. মাইগ্রেনের সমস্যা মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হতে পারে। বেশিরভাগ ‘মাইগ্রেনের রোগীর মাথাব্যথা দেখা দেয় সকালে কিংবা রাতে। তাই ‘মাইগ্রেনেরHealthxBD ব্যথার সমস্যাটা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
৬. মানসিকচাপ ও অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকেও মাথাব্যথা হতে পারে।
কী করবেন
এসব সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মাইগ্রেন, মাংসপেশির টান বা চাপের কারণে সাধারণত দিনের বিভিন্ন HealthxBDসময়ে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। সেই ব্যথা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেও অনেক সময় রোগীর ঘুম ভেঙে তীব্র মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। দাঁত, চোখ, কান, টনসিল, সাইনাস কিংবা ঘাড়ের বিভিন্ন সমস্যার কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মাথাব্যথা ছাড়াও আনুষঙ্গিক নানান উপসর্গ দেখা দেয়।
সাধারণ মাথাব্যথায় ভয়ের কিছু নেই। HealthxBD
তবে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকুন—
*যাঁদের মাথাব্যথা শেষ রাত থেকে সকালের দিকে তীব্র হয় এবং সঙ্গে বমি থাকে, তাঁদের অবশ্যই অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মস্তিষ্কের ভেতরকার তরলের স্বাভাবিক চাপ নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলে এমন লক্ষণ দেখা দেয়, তাই জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রয়োজন। মস্তিষ্কে টিউমার বা জীবাণুর সংক্রমণ হলে এমনটা হয়ে থাকে। অনেক সময় চোখে দেখতেও অসুবিধা হতে পারে। জীবাণু সংক্রমণের কারণে এমন ব্যথা হলে জ্বরও হতে পারে।*খুব অল্প সময়ে মাথাব্যথা তীব্র আকার ধারণ করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
*এমনিতে মাথাব্যথা হলে প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনো ব্যথানাশক সেবন করবেন না।
*মাইগ্রেনের ব্যথা যেসব কারণে বাড়তে পারে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
*বিপজ্জনক কোনো লক্ষণ না থাকলে মাথাব্যথা নিয়ে ভয় পাবেন না। দুশ্চিন্তা, হতাশা ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। প্রফুল্লচিত্তে কাজ করুন। বিষণ্নতা এড়াতে জীবনের ভালো দিকগুলোর কথা ভাবুন, জীবনের অর্জনগুলোর জন্য নিজেকে বাহবা দিন। মন খারাপের ভাবনাগুলোকে বিদায় দিন। তাহলে মাথাব্যথা থেকে দূরে থাকবেন।