শুরু হয়েছে রমজান মাস। পৃথিবীজুড়ে অসংখ্য মুসলিম রোজাদার রমজান মাসে রোজা রাখবেন। রমজান মাসে প্রতিদিন টানা ১৪-১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হয়। রোজা শেষে cরা একত্রে বসে ইফতার করেন আর তখন অনেকে তেল, চর্বি বা হাই ক্যালরিযুক্ত খাবার খান। অনেকে এ সময় ব্যায়াম করা ছেড়ে দেন। তবে এ সময় শরীরের সুস্থতার জন্য হালকা শরীর চর্চা করা খুব দরকার। এ ক্ষেত্রে খাবার, পানি আর ব্যায়াম এ তিনটিই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য রইল কিছু স্বাস্থ্য পরামর্শ:
১. অনেকে খেজুর খেয়ে আর পানি পান করে প্রথমে রোজা ভাঙেন। খেজুর হল আঁশের ভাল উৎস। এরপর ইফতারে মৌসুমি ফলমূল ,শরবত, ফলের রস, ডাবের পানি, লেবু পানি বা শরবত পান করতে পারেন। ইফতারে ভাজা ছোলা না খেয়ে সামান্য লবণ আর আদা দিয়ে সেদ্ধ অঙ্কুরিত ছোলা খেতে পারেন। এ ছাড়া খেতে পারেন লাল চিড়ার সঙ্গে টক দই। ইফতারের পর থেকে পানি অল্প অল্প করে বার বার পান করুন। ভাজাপোড়া, বিরিয়ানি, কাচ্চি দিয়ে ইফতার না করাই ভালো।
২. সাহরিতে খাবেন হালকা খাবার। এই সময় সবজি, লাল চালের ভাত বা গমের রুটি, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার কচি চিকেন, মাছ বা ডিম খেতে পারেন। এক বাটি ডাল, এক কাপ সবজি, ডিম বা মাছ অথবা মাংসের একটি পদ কখনও সাহরিতে বাদ দেবেন না। কারণ ইফতার পর্যন্ত শরীরে এনার্জি পেতে সাহরির আহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাহরিতে শস্যযুক্ত খাবার খেতে পারেন। এসব খাবার খাবার ধীরে ধীরে হজম হবে ও সারা দিন এনার্জি দেবে।
আরো জানুনঃ
- সুস্থ থাকা কেন জরুরি?
- ফুড পয়জনিং: কারণ, লক্ষণ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা
- শীতে আলস্য ঝেড়ে ফেলবেন যেভাবে
৩. শরীরকে সচল রাখতে পানিশূন্যতা যেন না হয় তাই ইফতার আর সাহরিতে পানি পান করুন বেশি। আর ইফতারের পরে বেশি পানি পান করুন। অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি যেন পান করা হয়।
৪. ইফতারে আমরা অনেক বেশি খেয়ে ফেলি। এ সময় ভাজাপোড়া খাবারই বেশি থাকে। এ জন্য পেট ফাঁপা, বুক-গলা জ্বলা, বমি বমি ভাব হয়। এ ছাড়া ইফতারে কোমল পানীয় আর চা, কফি পান না করা ভালো। এতে শরীরে পানিশূন্যতা হওয়ার পথ সুগম হবে। পানি ছাড়াও অন্যান্য তরল খাবার যেমন: স্যুপ, সবজি বা ফল খাবেন। বেশি তেল, চর্বি ও ভাজাপোড়া খাবার খাবেন, তবে খুব সীমিত পরিমাণে। সিঙ্গারা , সমুসা , পিয়াজু, আলুর চপ কম খাবেন। ইফতারিতে শসা, লেটুস পাতা, টমেটো, তরমুজ খান।
৫. ইফতারে রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন। এর চাইতে বাসায় তৈরি খাবার স্বাস্থ্যকর হবে। বেশি চিনি যুক্ত খাবার, যেমন: পেস্ট্রি কেক, মিষ্টি, ফিরনি, পায়েস, আইসক্রিম ইত্যাদি খুব কম খাবেন।
আরো জানুনঃ
- একজন মানুষের সুস্থ থাকার অন্যতম নিয়ামক হলো ঘুম।
- শীতের ৪ চা, কমবে জমে থাকা কফ||সর্দি-কাশির সমস্যা ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সাধারণ
- ডিজিটাল স্বাস্থ্য কার্ড: কখনো হারাবে না রোগীর ফাইল ও রিপোর্ট
৬. ইফতারে বেশি লবণ দেওয়া খাবার পরিহার করুন। প্রসেস মিট , ফাস্ট ফুড, নিমকি, চিপস, সসেজ, আচার, নোনা পনির, আর সস খুব সীমিত খান।
৭. সাহরি ও ইফতারিতে খাবার খাবেন ধীরে ধীরে। একসঙ্গে বেশি খেলে বুক জ্বালা, বদহজম হতে পারে।