নতুন সরকারের হঠাৎ এই নীতি পরিবর্তনের উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রিচার্ড এডওয়ার্ডস বলেছেন, ‘আমরা আতঙ্কিত ও বিরক্ত। নিউজিল্যান্ডের বেশিরভাগ মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্তে হতবাক।
নিউজিল্যান্ডে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ধূমপান বন্ধের নিয়ম উঠে যাচ্ছে। সোমবার এই ঘোষণা করেছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী লুক্সন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্দের্নের আমলে ঠিক হয়েছিল, ২০০৮ সালের পর যাদের জন্ম, তাদের কাছে সিগারেট বিক্রি করা যাবে না।
কিন্তু লুক্সন জানিয়ে দিয়েছেন, এর ফলে সিগারেটের কালোবাজারি বাড়া ছাড়া আর কোনো কাজ হবে না। তাই তিনি এই নিয়ম বাতিল করতে চান।
সাবেক লেবার পার্টির সরকারের বক্তব্য ছিল, অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে সিগারেট বিক্রির ওপর এই নিষেধাজ্ঞার মানে হলো, প্রচুর মানুষের প্রাণ বাঁচানো ও ধূমপানের ফলে যে অসুখ করে, তার হাত থেকে ও বিপুল চিকিৎসা খরচের হাত থেকে প্রচুর মানুষকে বাঁচানো।
এছাড়াও তামাকের মধ্যে নিকোটিনের পরিমাণ আরও কম করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বলা হয়, সারা দেশে মাত্র ছয়শটি দোকানকে সিগারেট বিক্রির অনুমতি দেয়া হবে। আগে ছয় হাজার দোকানে সিগারেট বিক্রি হত।
গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্য সরকারও তরুণদের জন্য ধূমপান নিষিদ্ধ করে।
যদিও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নীতিটি প্রশংসিত হয়েছে, কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কিছু ব্যবসায়ী ‘স্মোক ফ্রি’ আইনের বিরোধিতা করেন। দোকানের মালিকরা রাজস্ব ক্ষতির জন্য এই আইনের সমালোচনা করেছিলেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্রিস লাক্সনসহ কয়েকজন আইনপ্রণেতা যুক্তি দিয়েছেন, ধূমপানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তামাকজাত পণ্য কালো বাজারের দিকে ঠেলে দেবে।
লুক্সনের ন্যাশনাল পার্টি এখন নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট পার্টির সঙ্গে জোট করে সরকারে এসেছে। তারা ঠিক করেছে, অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে সিগারেট বিক্রি নিকোটিনের পরিমাণ কম করা, দোকানের সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে।
নতুন অর্থমন্ত্রী নিকোলা উইলিস বলছেন, সরকার কর কম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে রাজস্বের যে ক্ষতি হবে, তার কিছুটা সিগারেটের ওপর বসানো করের থেকে যে অর্থ আসবে, তা দিয়ে পূরণ হবে। তবে লুক্সন বলেছেন, রাজস্ব বাড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার প্রধান কাজ হবে মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানা।