ছোটবেলা থেকে আস্তে আস্তে আমাদের মধ্যে নিজের অজান্তে অনেক বদভ্যাস গড়ে ওঠে, সব সময় যা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখি না। তবে এসব অভ্যাস বিয়ের পরও চালিয়ে গেলে বিপদ। এতে সঙ্গীর সঙ্গে আপনার বোঝাপড়ায় ঝামেলা তৈরি হবে। অস্বাস্থ্যকর এসব অভ্যাস অনেক সময় বিচ্ছেদের কারণও হয়ে ওঠে। চলুন জেনে নিই তেমন কিছু অভ্যাস।
বিয়ের আগে যখন বাসায় ফিরতেন, তখন দরজা খোলার পরই হয়তো সোজা নিজের ঘরে চলে যেতেন। কিন্তু এখন সেটা চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। বিয়ের পর বাসার দরজা যদি আপনার স্ত্রী খুলে দেন, তাহলে তাঁকে কুশলাদি জিজ্ঞাসা করুন। দরজা খোলার পরই একটা মিষ্টিহাসি দিয়ে তাঁকে জড়িয়েও ধরতে পারেন। এতে নিজেদের মধ্যে হৃদ্যতা বাড়বে।
বিয়ের আগে অফিস শেষে বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে রাত করে বাসায় ফিরতেন। বিয়ের পরে এই কাজটি নিয়মিত হয়ে গেলে সঙ্গীর সঙ্গে আপনার ঝামেলা বাড়তে পারে। তাই বিয়ের পর এই কাজটি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
উদ্যাপনের অভ্যাস নেই! তাহলে তো ঘোর বিপদে পড়তে যাচ্ছেন আপনি। জীবনের ছোট-বড় যেকোনো সাফল্য বা বিশেষ দিন উদ্যাপনের অভ্যাস করুন। বিয়ের পর এ অভ্যাস আপনার দাম্পত্য জীবন সুখের হতে সাহায্য করবে। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, শুভ সংবাদ, সাফল্য, পদোন্নতির মতো বিষয়গুলোতে একসঙ্গে উদ্যাপনের অভ্যাস করুন।
অন্যের কাছে সঙ্গী সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলবেন না। বিয়ের পর এ অভ্যাস আপনাকে বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আবার এটাও সত্য যে আমরা নিজেদের নানা বিষয় বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করি। সঙ্গীকে নিয়ে যদি কারও সঙ্গে আলোচনা করতেই হয়, সেখানে তাঁর সম্পর্কে অসম্মানজনক শব্দ ব্যবহার করবেন না।
সঙ্গীকে অসম্মান করছেন না তো, বিশেষ করে সন্তানদের সামনে? সন্তানদের সামনে সঙ্গীর প্রতি কেমন ব্যবহার করব, সে বিষয়ে অনেক সময় আমরা ভুলে যাই। মনে রাখবেন, সন্তানদের সামনে মা–বাবা একজন আরেকজনকে অসম্মান করলে সেই পরিবারে বন্ধন দৃঢ় হওয়া কঠিন। তাই সন্তানদের সামনে নিজেদের কোনো বিষয় নিয়ে অন্যজনকে হেয় করে কথা বলা যাবে না।
ফোন বেজে যাচ্ছে, ধরছেন না। কিংবা ফোনের প্রতি উদাসীন। বিয়ের পরও এই বদ-অভ্যাস চলতে থাকলে বিপদ। এই কাজটি যে কারোই অপছন্দ। সঙ্গীর ক্ষেত্রে তো কথাই নেই। তার ফোন ঠিকঠাক না ধরলে মনোমালিন্য বেড়ে যেতে পারে। এমনকি সন্দেহের তীরও বিধতে পারে।