শীতে অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। ফলে পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। সব সময় চেষ্টা করুন শীতে শরীর হাইড্রেট রাখতে।
যোগব্যায়াম, হোম ওয়ার্কআউট বা নাচের মতো শরীরচর্চা করুন। এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে। আবার অলসভাবও কমবে। এছাড়া, সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (এসএডি বা স্যাড), ঋতুর সঙ্গে যুক্ত এক ধরনের বিষণ্নতা, শীতের অলসতায়ও অবদান রাখতে পারে।
প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে শীতের আগমনী হাওয়া। চারদিকে কুয়াশার ঘনঘটা যেন প্রকৃতির রুক্ষতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। শীত আসলেই বাড়তি নজর দিতে হয় শরীরের প্রতি। কারণ বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকায় শরীরের ময়েশ্চারাইজার কমে যায়। ফলে ত্বকের এক প্রকার খসখসে ভাব তৈরি হয়। বিশেষ করে ছেলেদের রুক্ষতা বেশি লক্ষ্যণীয়। শীতের মাত্রা যতই বাড়ে ততই রুক্ষতা বাড়ে। এজন্য প্রয়োজন ত্বকের যথাযথ যত্ন নেওয়া। যদিও ছেলে ত্বকের যত্ন সম্পর্কে উদাসীন। তারপরও শীত মৌসুমে উদাসীনতার সুযোগ নেই। কারণ এসময় ত্বকের যত্ন না নিলে আপনি রুক্ষ-শুষ্ক এক মানবে পরিণত হবেন।
শীতে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় বাইরে ধুলাবালির পরিমাণ একটু বেশিই থাকে। তাই গায়ে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ময়লা জমা পড়ে। তাই এখন থেকেই শুরু হোক ত্বকের বাড়তি যত্ন। শীতে ছেলেদের ত্বক সুস্থ, সুন্দর ও সতেজ রাখতে কিছু বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে তাই শীতে ছেলেদের উচিৎ ত্বকের সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া। জেনে নিন এ ঋতুতে ছেলেরা কিভাবে ত্বককে ভালো রাখতে পারেন-
এক্সফলিয়েটর
এক্সফোলিয়েটিং মূলত ত্বকের মৃতকোষকে পরিষ্কার করাকে বলা হয়। ত্বকে যে মৃতকোষ তৈরি হয়, এক্সফোলিয়েটিং এর মাধ্যমে তা পরিষ্কার হয়ে যায়। ফলে ত্বক হয় মসৃণ ও সুন্দর। শীতে ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে যায়, ত্বকের এই রুক্ষতা থেকে ফাইনলাইনস বা বলিরেখার তৈরি হয়।এক্সফলিয়েশনের কারণে ত্বকের আরও কিছু উপকার হয়, যেমন ব্রন বা পিগমেনটেশন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এতে ত্বক হয়ে ওঠে স্বাস্থোজ্জ্বল।
ময়েশ্চারাইজার
ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বককে সব সময় ময়েশ্চারাইজড রাখা খুব জরুরি এই সময়। অনেকেই মনে করেন তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার দরকার নেই। কিন্তু এই ধারণাটি ভুল। সব ধরনের ত্বকের জন্যই কিন্তু ময়েশ্চারাইজার দরকার। শীতে ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে পড়লে মুখ সাদাটে হয়ে যায়। এই সাদাটে ভাব দূর করতে ময়েশ্চারাইজার সব থেকে ভালো কাজ করে। দিনে ও রাতে সবসময় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। রাতে অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন বুঝে অয়েল বেজড, ওয়াটার বেজড অথবা জেল বেজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে উপকৃত হবেন।
সানস্ক্রিন
ত্বককে ভালো রাখতে চাইলে সানস্ক্রিন ব্যবহারের বিকল্প নেই। বিশেষ করে ছেলেদের ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন বেশি দরকার। কেননা ছেলেদের বেশির ভাগ সময় বাহিরে থাকা হয়। শীতকালে রোদে থাকতে কম বেশি সবারই ভালো লাগে। রোদের তাপটা এই সময় খুব ভালো লাগে। তাপ কম থাকে দেখে অনেকেই ভাবেন এই সময় সানস্ক্রিন এপ্লাই না করলেও চলবে। কিন্তু এই ধারণাটা একদম ভুল। সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি-রে ত্বককে ড্যামেজ করে এবং সানট্যানের সমস্যাও হতে পারে।
লিপবাম
শীতে ঠোঁটের চামড়া শুষ্ক হয়ে যায়, ফেটে যায়। এই সময় ঠোঁটেরও প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ঠোঁটে লিপবাম ব্যবহার করুন। এতে ঠোঁট ফাটা দূর করবে এবং ঠোঁট থাকবে নরম। আবার রাতে ঘুমানোর আগে এবং বাহিরে বের হওয়ার আগেও লিপবাম ব্যবহার করার কথা ভুলবেন না।
পায়ের গোড়ালি
শীত আসবে আর পায়ের গোড়ালি ফাটবে না, তা তো হয় না। প্রায় সবাই শীতে এ সমস্যায় পড়েন। শীতে এ অত্যাচার থেকে বাঁচতে আপনাকে নিতে হবে বাড়তি যত্ন। পায়ের পরিচর্যার পাশাপাশি জুতার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পা-ঢাকা জুতা পরলে, তা আরামদায়ক হবে। এ ছাড়া পরতে হবে মোজাও। আর পা ফেটেই গেলে হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ভালো করুন ফুট ক্রিম লাগান।
গোসল
শীত এলে অধিকাংশ পুরুষ গোসলে গড়িমসি করেন। অনেকে গরম পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। কিন্তু অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
চুলের যত্ন
শীতে আর্দ্রতায় চুল রুক্ষ ও মলিন হয়ে যায়। এ জন্য চুলের যত্ন গুরুত্বপূর্ণ। তাই শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল, মধু, লেবুর রস কিংবা ঠান্ডা চায়ের লিকার মালিশের কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু করলে চুল সতেজ থাকবে। সপ্তাহে একদিন কাঁচা মেহেদি পাতা বেটে মাখলে স্বাভাবিকভাবে চুল পড়া কমতে পারে। যেকোনো ধরনের প্যাক কিংবা মেহেদি ব্যবহার করার পর ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এরপর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
পানি পান
শীত আর গরম সব সময়ই ত্বকের জন্য পর্যাপ্ত পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। অনেকে শীতে কম পানি পান করে থাকেন। তা একদমই করা যাবে না। বরং এখন আরও বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
শাকসবজি
শীতকালে বেশি করে শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে ত্বকের সতেজতা বজায় থাকবে।
দাড়ির যত্ন
দাড়ি পুরুষের সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়ায়। কিন্তু শীতের শুষ্কতার সঙ্গে লড়াই করে দাড়ি সুন্দর রাখা সহজ নয়। এ সময় আপনার দাড়ি শুষ্ক হয়ে সহজেই ভেঙে যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন বিয়ার্ড অয়েল। এটি আপনার দাড়ি এবং ত্বকের নিচে ভালোভাবে প্রয়োগ করুন। এটি দাড়িকে নরম এবং ময়েশ্চারাইজড রাখতে সহায়তা করবে।
নখের যত্ন
নখের গোঁড়ায় জমে থাকা ময়লা থেকে জীবাণু সংক্রমিত হয়ে পায়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়, তাই প্রতি মাসে অন্তত দু’বার পেডিকিউর করলে পা থেকে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
অনলাইন বা অফলাইনে যে কোন সময় ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে ভিজিট করুন HEALTHx এর ওয়েবসাইট এ –
আমাদের ইনবক্সে মেসেজ দিন অথবা কল বা হোয়াটসঅ্যাপ করুন এই নাম্বারেঃ
+8801969908181
+8801571016461