ডেঙ্গু আমাদের কাছে একটি পরিচিত শব্দ। আর এই ডেঙ্গুজ্বরের মূল কারণ হলো এডিস মশা। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে শরীরে র্যাশ দেখা যায়, তবে ডেঙ্গুর অন্যান্য লক্ষণ ও উপসর্গের মধ্যে এটিকে সাইড সিম্পটম বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ধরা যায়।
ত্বকের এই লক্ষণগুলো দু-তিন রকমের হতে পারে। যেমন-
১)প্রাথমিক পর্যায়ে মুখ ও গলাসহ বুকের ওপরের অংশ লাল হয়ে যেতে পারে, ভাইরাস ও রক্তের অ্যান্টিবডির সঙ্গে রি-অ্যাকশনের কারণে সাধারণত এমনটা ঘটে থাকে।পরবর্তী পর্যায়ে প্রধানত হাতের ও পায়ের পাতায় লালচে দাগের মতো হয়, যেগুলো গুটি আকারেও দেখা দেয়। পরে সেই গুটিগুলো ধীরে ধীরে শরীরের অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
২)ডেঙ্গুতে অন্য এক ধরনের র্যাশ দেখা যায় যাকে ‘পেটেকিয়াল র্যাশ’ বলা হয়। এতে চামড়ার তলায় প্রথমে গাঢ় লাল, তারপর ধীরে ধীরে কালচে হয়ে যাওয়া র্যাশ হতে দেখা যায়, এটা হেমোরেজিক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে হয়ে থাকে এবং চামড়ার নিচে ব্লিডিং হওয়ার কারণেই এটা ঘটে থাকে।
যেহেতু ত্বকের র্যাশে বেশ চুলকানি থাকে, তাই এসব ক্ষেত্রে মুখে খাওয়ার অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ নির্বিঘ্নে ব্যবহার করা যায়।
৩)ঘুমানোর সময়ে মশারি টানানো যেমন অত্যাবশ্যক তেমনি অন্যান্য সময় ত্বকে মসকিউটো রিপেলেন্ট ক্রিম ব্যবহারও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘকালীন প্রতিরক্ষা না দিলেও এই ক্রিমগুলো বেশ কিছুক্ষণ ত্বককে মশার কামড় থেকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম। শিশুদের জন্যও এই ক্রিমগুলো নিরাপদ। Healthxbd
আরো জানুন-
–নারীস্বাস্থ্য ও অনিয়মিত পিরিয়ড