মানবদেহের মূল্যবান উপাদান হলো রক্ত।প্রতিনিয়ত একজন মানুষের রক্তের প্রয়োজন হয়ে থাকে।সাধারণত থ্যালাসেমিয়া,রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনায় আক্রান্ত রোগীর রক্তের প্রয়োজন পড়ে।
আমাদের দেশে বছরে রক্তের চাহিদা প্রায় ৮-১০ লাখ ব্যাগ। দেশের জনসংখ্যার তুলনায় এ চাহিদা একেবারেই নগণ্য।ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই স্বেচ্ছা রক্তদাতা বৃদ্ধি করে এ চাহিদা মেটানো সম্ভব।বিশেষজ্ঞদের মতে, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যে কোনো ব্যক্তি প্রতি চার মাস পরপর রক্ত দিতে পারেন। নিয়মিত রক্তদানে বিভিন্ন ধরণের রোগের ঝুঁকি কমে যেতে পারে । যেমন-
১)বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষা-
রক্তদানের মাধ্যমে আপনি বিনামূল্যে রক্তের বিশ্লেষণও পান, যা এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি এবং সি সংক্রমণের পাশাপাশি সিফিলিসের মতো রোগের জন্য পরীক্ষা করে। রক্তদাতার কোনো সমস্যা থাকলে তা জানানো হয়, যাতে সে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারে। Healthx BD
২)মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে-
প্রত্যেক দাতার রক্ত তিনজন পর্যন্ত ভিন্ন ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারেন যাদের ট্রান্সফিউশন বা অন্যান্য রক্তের পণ্য প্রয়োজন। রক্ত দান করলে তা মানসিক চাপ কমাতে কাজ করে, আত্মীয়তার অনুভূতি দিতে পারে এবং একাকিত্বের অনুভূতি কমাতে কাজ করে।
৩)হৃদরোগ প্রতিরোধ-
নিয়মিত রক্তদান রক্তে আয়রনের মাত্রা কমিয়ে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, যা অক্সিডেটিভ কমায়। এটি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ক্ষতি রোধ করে। ২০২২ সালে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, রক্তদান হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কাজ করে। তবে রক্তদান হৃদরোগের ঝুঁকিকে প্রভাবিত করে কিনা তা নিশ্চিতভাবে নির্ধারণ করার জন্য আরও উচ্চ-মানের গবেষণা প্রয়োজন।Healthx BD
৪)ক্যান্সার ঝুঁকি হ্রাস-
জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, রক্তে আয়রনের মাত্রা হ্রাস হলে তা ক্যান্সারের ঝুঁকিকে প্রভাবিত করতে পারে। গবেষকরা দেখেছেন যে, যারা আয়রন রিডাকশন থেরাপি বা ফ্লেবোটমি করেছেন তাদের কন্ট্রোল গ্রুপের তুলনায় নতুন ভিসারাল ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম ছিল। রক্তদান শরীরের আয়রন সঞ্চয়কেও কমিয়ে দেয়, যা প্রমাণ করে যে আয়রনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম হতে পারে।Healthx BD
আরও জানুন-
–চোখের সমস্যার লক্ষন ! কী কী জানেন চোখের রোগ নিয়ে?