Author: antu

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধি না হলে বাবা-মায়েরা উদ্বিগ্ন হন। বিশেষ করে যখন শিশুরা স্কুলে যেতে শুরু করে, তখন অভিভাবকদের চিন্তা আরও বাড়ে। সাধারণত দেখা যায়, সঠিক পুষ্টির অভাবের কারণে শিশুর ওজন ও উচ্চতা ঠিকভাবে বৃদ্ধি পায় না। তাই বাড়ন্ত বয়সে তাদের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। দুগ্ধজাত খাবার শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি উপকার করে দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার। ভারতীয় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিয়ঙ্কর পাল এ বিষয়ে বলেন, “দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড়ের গঠনকে শক্তিশালী করে। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, বি, ডি ও ই রয়েছে, যা শিশুর বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই…

Read More

শিশুর জন্মের পর চাকরিজীবী মায়েরা পারিবারিক এবং অফিসের চাপের কারণে মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হন, এটি অনেকের কাছেই স্বাভাবিক। তবে নতুন বাবারাও একই ধরনের সমস্যায় পড়েন, যা অনেকের কাছে ধারণার বাইরে থাকতে পারে। অনেক নারীর ক্ষেত্রেও একই ধরনের অভিজ্ঞতা শোনা যায়। শিশুদের যত্নে মায়েরা সাধারণত প্রধান ভূমিকা পালন করেন এবং পেশা ও পরিবারের মধ্যে সমন্বয় করতে গিয়ে তাদের দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হয়। তবে অনেক বাবাকেও এই ধরনের লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়, কারণ তাদের নিয়মিত চাকরির পাশাপাশি অন্য কাজের চাপ অনেক বেড়ে গেছে। সেন্টার ফর প্যাটারনাল লিভ লিডারশীপের প্রতিষ্ঠাতা অ্যামি বিকম মাইক্রোসফট ও ফিলিপস ৬৬-র মতো প্রতিষ্ঠানে পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে প্রশিক্ষণ…

Read More

ব্রুক্সিজম বা দাঁত কিটমিট, একটি স্বভাব যা অনেক সময় মানুষের অজান্তেই ঘটে। এটি জাগ্রত বা ঘুমন্ত অবস্থায় হতে পারে। যদি ব্রুক্সিজমের মাত্রা কম হয়, তবে সাধারণত চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি চোয়ালের সমস্যা, মাথাব্যথা এবং দাঁতের ক্ষয়ের কারণ হতে পারে। উপসর্গ – দাঁত ক্ষয় হয়ে সমান হয়ে যায়, এনামেল উঠে যায় অথবা দাঁত ভেঙে যায়। – দাঁত ক্ষয় হয়ে যাওয়ার কারণে দন্ত মজ্জায় ঘা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। -দাঁত ব্যথা বা শিরশির করতে পারে। -চোয়াল লক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। -চোয়াল, ঘাড় বা মুখমণ্ডলে ব্যথা অনুভব করা যায়। – কানে সমস্যা না থাকলেও কানে ব্যথার মতো অনুভূতি হতে…

Read More

পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম) নারীদের একটি হরমোনজনিত সমস্যা, যা তাদের প্রজনন ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলে। এতে এক বা দুইটি ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট গঠিত হয় এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। পিসিওএসের কারণে কেন বন্ধ্যত্ব হয় ● অমসৃণ ওভুলেশন: পিসিওএসে ডিম্বাশয়ে ছোট সিস্ট তৈরি হয়, যা স্বাভাবিক ডিম্বাণু স্ফুরণ বা ওভুলেশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এর ফলে নিয়মিত ওভুলেশন ঘটে না, যা গর্ভধারণে বাধা দেয়। ● হরমোনের অস্বাভাবিকতা: পিসিওএসের ফলে শরীরে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) ও অন্যান্য হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই অস্বাভাবিক হরমোনের স্তর ডিম্বাণু স্ফুরণ ও গর্ভধারণের প্রক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করতে পারে। ● ইনসুলিনের প্রভাব: ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের ফলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি…

Read More

ঘরোয়া প্রতিকার দ্বারা এসব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তবে যদি হাত ও পায়ের ব্যথা বড় কোনো রোগের লক্ষণ হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। জানুন, কোন রোগের কারণে হাত ও পায়ে প্রায়শই ব্যথা হতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা যদি কেউ থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যায় বা হাইপোথাইরয়েডিজমে ভুগেন, তাহলে তাদের প্রায়ই গলাব্যথা এবং হাত ও পায়ে ব্যথা হতে পারে। এই সময় হরমোনের সমস্যা সৃষ্টি হয়, যার ফলে পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা বাড়ে। শরীর অত্যন্ত ক্লান্ত লাগে এবং কাজের ক্ষমতা হ্রাস পায়। চুল পাতলা হয়ে যায়, চেহারা ধীরে ধীরে রোগা দেখায়, এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে হার্টের সমস্যাও হতে পারে…

Read More

কব্জির ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা, যা হঠাৎ ইনজুরির ফলে হতে পারে। মচকে যাওয়ার কারণে কিংবা হাড় ভেঙে কব্জিতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। তবে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার জন্যও কব্জিতে ব্যথা হতে পারে, যেমন বারবার চাপ পড়া, বাত, অথবা কারপাল টানেল সিনড্রোম। যেহেতু কব্জির ব্যথার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, তাই কখনো কখনো দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার সঠিক কারণ নির্ধারণ করা কঠিন হয়। সঠিক রোগ নির্ণয় খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার কব্জির ব্যথার সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণে সহায়তা করে। কব্জির ব্যথার উপসর্গ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যা নির্ভর করে ব্যথার কারণের ওপর। উদাহরণস্বরূপ, অস্টিও আর্থ্রাইটিসের ব্যথা সাধারণত ভোঁতা ধরনের, ঠিক যেমন দাঁতের ব্যথা। অন্যদিকে, টেনডনের প্রদাহ বা টেনডিনাইটিসের…

Read More

মাথাব্যথায় ভোগেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। মাথাব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি মাথাব্যথার শিকার, যার মধ্যে টেনশন টাইপ মাথাব্যথা সবচেয়ে বেশি। মাথাব্যথার কারণগুলো অন্তর্ভুক্ত: মাইগ্রেন, সাইনাসের প্রদাহ, ক্লান্তি, পানিশূন্যতা, ঘুমের অভাব, দুশ্চিন্তা ও অতিরিক্ত মানসিক চাপ, মৃগী রোগ, ব্যথানাশক ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মাথায় আঘাত, ব্রেইনের টিউমার, দাঁতের রোগ, দ্রুত ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম খাওয়া, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধূমপান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাথাব্যথা টেনশন বা দুশ্চিন্তার ফলে হয়, কারণ টেনশনের কারণে মস্তিষ্কে চাপ তৈরি হয়, যা মাথাব্যথা শুরু করে। যা করতে হবে:সুশৃঙ্খল পারিবারিক জীবন ও আনন্দময়, ঝামেলাবিহীন জীবনই টেনশন এবং তার ফলস্বরূপ পরিস্থিতি…

Read More

মৌসুম পরিবর্তনের সামান্য পরিবর্তনে হাঁচি-কাশি শুরু হতে পারে, যা সাধারণত দুর্বল ইমিউনিটির কারণে হয়। অনেকেই মনে করেন, ভালো ইমিউনিটি মূলত জিনগত বিষয়, কিন্তু আসলে অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে যেগুলো ইমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত। স্ট্রেস, পুষ্টি, ব্যায়াম এবং মেডিটেশন এসবের মধ্যে অন্যতম। ইমিউনিটি আসলে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা বিভিন্ন ধরনের বাহ্যিক টক্সিন, কেমিক্যাল, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থেকে শরীরকে রক্ষা করে। অসুস্থ হওয়া মানেই এই নয় যে আপনার লাইফস্টাইলে কোনো সমস্যা আছে; স্বাস্থ্য সচেতন মানুষও মাঝে মাঝে অসুস্থ হতে পারে। তবে যদি ঘন ঘন অসুস্থ হন, তাহলে তা অপুষ্টি এবং দুর্বল ইমিউনিটির নির্দেশক। তাই ইমিউনিটি বাড়াতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে নজর দিন। পুষ্টি হোক শরীরের…

Read More

মাতৃত্ব একজন নারীর জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার। এটি বলা হয় যে, মাতৃত্বই একজন নারীর জীবনে পূর্ণতার অনুভূতি এনে দেয়। তাই সন্তানের আগমনের আনন্দ থেকে শুরু করে প্রসব বেদনার প্রতিটি মুহূর্ত, একজন মা মায়াবী স্বপ্ন নিয়ে তা উপভোগ করেন। তবে সব ক্ষেত্রে এই সুখের চিত্র দেখা যায় না। অনেকের জীবনে এর বিপরীত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সন্তানের জন্মের পর সাত রাজার ধন পেয়ে থাকলেও কেউ কেউ সুখের সাগরে ভাসতে পারেন না। কখনও কখনও মাতৃত্বের আনন্দ অনেক নারীর জন্য বিষাদময় হয়ে ওঠে। শুনতে অবাক লাগলেও পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি মায়ের জন্য অন্তত এক-দুইবার এমন পরিস্থিতি ঘটতে পারে। সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য একজন নারীর…

Read More

বুকের মাঝখানে বা বাম পাশে হাতুড়ির মতো অনুভূতি বা কাঁপুনিকে প্যালপিটিশন বা বুক ধড়ফড় বলা হয়। কেউ হঠাৎ চমকে উঠলে, ভয় পেলে বা হঠাৎ কোনো শব্দে ঘুম ভেঙে গেলে এমন অনুভূতি সৃষ্টি হয়। এ ধরনের অভিজ্ঞতা ছাড়া মানুষের দেখা পাওয়া কঠিন। প্যালপিটিশনের সঙ্গে শরীরে অস্বাভাবিক অনুভূতি, শরীর ঘেমে যাওয়া, হাত-পা ও মুখ কাঁপা, কথা জড়িয়ে আসা, পিপাসা অনুভব করা, মাথা হালকা লাগা এবং মাথা ঘোরানো, বুকে ব্যথা অনুভব করা এবং কিছু ক্ষেত্রে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিও ঘটতে পারে। এসব উপসর্গের জন্য এড্রিনালিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ (হরমোন) দায়ী। স্নায়বিক উত্তেজনার ফলে হঠাৎ অতিরিক্ত এড্রিনালিন রক্তে মুক্তি পেলে এমন…

Read More