চোখওঠা বা কনজাংটিভাইটিস কে অনেক সময় পিংক-আই ও বলা হয়।
লক্ষণঃ
১। চোখের যে সাদা অংশ আছে সেই অংশ পিংক/লাল/লালচে রঙের হয়।
২। চোখ থেকে পানি পরা।
৩। চোখ খচখচ করা, কখনো আবার জ্বালাপোড়া করা।
৪। চোখের পাতা ফুলে যায়।
৫। রোদে তাকাতে সমস্যা হয়।
৬। চোখে হালকা ব্যথা, মাথাব্যথা, নাক থেকে পানি পরা হতে পারে।
৭। ঘুম থেকে উঠলে দেখা যায় ময়লা জমে থাকা বা চোখে আঠালো হলুদ/সবুজাভ পদার্থ (ডিসচার্জ বলা হয়)।
করনীয়ঃ
১।। কালো চশমা ব্যবহার করা।
২।। কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিস্কার করা, চোখের পাতায় যেন ময়লা না থাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৩।। চোখে হাত না দেয়া।
৪।। আগুন-রোদ-ধুলাবালি থেকে দুরে থাকুন।
৫।। পরিবারের সকলের জিনিস আলাদা রাখা এবং আলাদাভাবে ব্যবহার করবে।
৬।। চোখে একটু পরপর পানির ঝাপটা দেয়া এবং নরম টিস্যু দিয়ে মোছা।
৭।। ব্যথা বা চুলকানি হলে ঔষধসেবন।
৮।। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া।
৯।। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকবেন।
১০।। সাথে টিস্যু ও হ্যান্ড-স্যানিটাইজার রাখুন।
কি করবেন নাঃ
✍️ বারবার চোখ রগড়াবেন না, যখন-তখন চোখে হাত দিবেন না।
✍️ চোখের পানি হাত দিয়ে মুছে ঐ হাত দিয়ে অন্যকিছু না ধরা যেমন-কারো সাথে হ্যান্ডসেক, টিভি/এসির রিমোট, মোবাইল, বিছানা, অন্যের ব্যবহৃত টাওয়েল বা চশমা ইত্যাদি ।
✍️ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকবেন।
✍️ পুকুরে বা নদীতে গোসল না করা।
✍️ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ড্রপ ব্যবহার করা যাবেনা।
✍️ অতিরিক্ত আলো বা টিভি থেকে দুরে থাকুন।
এটা একটা ছোঁয়াচে/সংক্রামিত রোগ, আপনার চোখের পানি মুছে ঐ হাতে আরেকজনের সাথে হ্যান্ডসেক বা কোন জিনিস স্পর্শ করলে সেখান থেকে এটা ছড়াবে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেনঃ
চোখ থেকে হলুদ বা সবুজাভ শ্লেষ্মা বের হচ্ছে, এবং এগুলো দিয়ে চোখ আটকে আসছে, চোখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।
মনে রাখবেনঃ
✍️ এটা কোনো ভয়ংকর সমস্যা নয়, এটা যেহেতু ছোঁয়াচে সুতরাং সতর্কতা অবলম্বন করুন।
✍️ উল্টাপাল্টা ড্রপ দিয়ে চোখের ক্ষতি করবেন না।
✍️ ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস ৭-১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে এর থেকেও যদি বেশি সময় লাগে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
✍️ ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিস বুঝবেন কিভাবে?
ভাইরালে চোখে সমস্যার সাথে নাক থেকে পানিপরা ও জ্বর থাকে এবং এটা ৭-১০দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। আর ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসে চোখে পানির পরিবর্তে ঘন হলুদ/সবুজাভ ডিসচার্জ হয়, ব্যথা থাকে, চোখের পাতা আটকে থাকে, চোখ খুলতে সমস্যা হয়, চোখ ফুলে যা, তখন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে হয়।