লেবু বা সাইট্রাস জাতীয় ফল: পাতিলেবু, মুসাম্বি এবং কমলালেবুর মতো সাইট্রাস ফল শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না, যার ফলে গন্ধ-সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ হয়। প্রতিদিন এক গ্লাস হালকা গরম লেবু পানি বা তাজা কমলালেবুর রস পান করুন। এতেও সমস্যা কমবে। গ্রিন টি: এই চা ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরের দুর্গন্ধ রোধ করতেও সহায়তা করে।
শীত কাল পড়তেই অনেকের পায়ে দুর্গন্ধ হওয়া শুরু হয়। কারও বাড়িতে গেলে এই সময়ে জুতা খুললেই পড়তে হয় অস্বস্তিকর অবস্থায়। এই সমস্যা কমাতে অনেকেই বডি স্প্রে, পারফিউম জাতীয় সুগন্ধি পায়ে ব্যবহার করে থাকেন। এতে সাময়িকভাবে পায়ের দুর্গন্ধ দূর হলেও একটু পরে দুর্গন্ধ মারাত্মক আকার নেয়। তাতে অস্বস্তি আরও বাড়ে। তবে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু সহজ রাস্তা আছে। যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি এমন কিছু খাবার রয়েছে, যে সব খাবার নিয়মিত খেলে এই সমস্যা কমে যেতে পারে। এ সব খাবারের .
নিউইয়র্কের পা ও আঙ্গুল রোগ বিশেষজ্ঞ রবার্ট কর্নফেল্ডের ভাষ্যমতে, ‘গ্রীষ্মে আমাদের পা পর্যাপ্ত রোদ পায়। কিন্তু শীতে ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে মোটা মোজা ও ভারী জুতা পরার কারণে পায়ে বাতাস চলাচল হয় কম। ফলে ব্যাকটেরিয়াও বেশি হয়। আর সেখান থেকেই হতে পারে দুর্গন্ধ।’
পায়ের দুর্গন্ধের জন্য মূলত ‘ব্যাকটেরিয়া’ দায়ী। কানাডিয়ান জার্নাল অব মাইক্রোবায়োলজির ২০০৬ সালে এক গবেষণায় দেখা যায়, ত্বকের স্টেফাইলোকক্কাস ঘামের সঙ্গে মিশে আইসোভালিক এসিড তৈরি করে, যা দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। এতে আরও দেখা যায়, ‘ব্যাসিলাস সাবটিলিস’ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া, যার অবস্থান আমাদের ত্বকেই; সেটি পোশাকের উপাদানের সঙ্গে বিক্রিয়া করে দুর্গন্ধ তৈরি করে। যে মোজাগুলোর ভেতর দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে না, সেগুলোই মূলত পায়ের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী।
‘গ্রীষ্মে পা ঘেমে যায়, তাই দুর্গন্ধ বেশি হবে’— সাধারণত এমন ধারণাই করা হয়। তবে, শীতেও পায়ে দুর্গন্ধ হয়।
পায়ের দুর্গন্ধ রোধে করণীয়
পায়ের দুর্গন্ধ এড়াতে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন অধ্যাপক ডা. আফসানা নাহিদ। সেগুলো হলো—
* মোজায় অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল পাউডার লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
* পায়ে ড্রাই লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
* বাসায় ফিরে পা থেকে জুতা খুলে পায়ে পর্যাপ্ত বাতাস লাগাতে হবে। জুতাগুলোও এমন জায়গায় রাখতে হবে, যেন জুতার ভেতরে পর্যাপ্ত বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
* নাইলনের মোজার পরিবর্তে সুতির মোজা ব্যবহার করা এবং সবসময় পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করা।
* ত্বকের মরা কোষগুলো অপসারণ করা আবশ্যক। এজন্য বেকিং সোডা ও ভিনেগার-যুক্ত কুসুম গরম পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখলে পায়ের পাতার মরা কোষগুলো নরম হয়ে আসবে। তারপর স্ক্র্যাবার দিয়ে ঘষে পা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
* জুতা ব্যবহারের পর রোদে শুকিয়ে নিন। জুতার ভেতরে ট্যালকম পাউডার, বোরিক এসিড বা দুর্গন্ধ-নাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ, জুতা পরিষ্কার রাখলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না।