মূলত এপ্রিল মাস থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হলেও ২০১৯ সালের পর ডেঙ্গু এখন সারাবছরের ই আতঙ্ক হয়ে দাড়িয়েছে। তবে জুন, জুলাই ,আগষ্টে এর সংক্রমন সবচেয়ে বেশি হয়।ডেঙ্গু এখন আতংকের নাম কারন দিন দিন এটি মারাত্নক হয়ে উঠছে ,পরিবর্তন হচ্ছে লক্ষণও আগের তুলনায় বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে ।ডেঙ্গু রোগের সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন নেই তবে সময়মতো ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস নির্ণয় ,মারাত্নক ডেঙ্গু রোগের চিহ্ন বা লক্ষণ সম্পর্কে ধারণা এবং অবহেলা না করে সময়মতো ডাক্তার বা হাসপাতালের শরণাপন্ন হওয়া ,সঠিক ভাবে কেস ম্যানেজমেন্ট বা চিকিৎসা এবং সেবা প্রদান ই ডেঙ্গু রোগীকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।তাই ভ্যাকসিন আসার আগ পর্যন্ত সাবধানতার বিকল্প নেই।
দুই ধরনের ডেঙ্গু জ্বরের মধ্যে মারাত্নক বা হেমোরেজিক অবস্থাটি সবচেয়ে জটিল ।এ সময় সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষনের পাশাপাশি আরো কিছু জটিলতা দেখা যায় । এই সমস্ত লক্ষণের যে কোন একটি দেখার সাথে সাথে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।যেমন:
জ্বর (১০২ ডিগ্রী থেকে সর্বোচ্চ ১০৫ ডিগ্রীও হতে পারে)
প্রচন্ড পেটে ব্যথা (পাকস্থলী এবং তলপেট)
ক্রমাগত বমি হওয়া
প্রস্রাব কমে যাওয়া , শ্বাসকষ্ট
প্রচন্ড দূর্বলতা
মাড়ি থেকে রক্ত পড়া
অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা
বিরক্তি এবং অস্থিরতা
ফ্যাকাশে এবং ঠান্ডা ত্বক
দুই ধরনের ডেঙ্গু জ্বরের মধ্যে মারাত্নক বা হেমোরেজিক অবস্থাটি সবচেয়ে জটিল ।এ সময় সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষনের পাশাপাশি আরো কিছু জটিলতা দেখা যায় । এই সমস্ত লক্ষণের যে কোন একটি দেখার সাথে সাথে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।যেমন:
জ্বর (১০২ ডিগ্রী থেকে সর্বোচ্চ ১০৫ ডিগ্রীও হতে পারে)
প্রচন্ড পেটে ব্যথা (পাকস্থলী এবং তলপেট)
ক্রমাগত বমি হওয়া
প্রস্রাব কমে যাওয়া , শ্বাসকষ্ট
প্রচন্ড দূর্বলতা
মাড়ি থেকে রক্ত পড়া
অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা
বিরক্তি এবং অস্থিরতা
ফ্যাকাশে এবং ঠান্ডা ত্বক
মারাত্নক ডেঙ্গু জ্বরে শরীরে সম্ভাব্য যা যা ঘটতে পারে
প্লাজমা লিকেজ হয়ে ফুসফুসে পানি এসে শ্বাসকষ্ট হতে পারে,পেটে পানি আসতে পারে,লিভার আক্রান্ত হতে পারে,কিডনী বিকল বা রেনাল ফেইলিওর হতে পারে।
প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে পারে (বমি,পায়খানা,মাড়ি,নাক, থেকে)
শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অঙ্গ মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
হঠাৎ করে রক্তচাপ কমে যেতে পারে
হাত পা সহ শরীরের অন্যান্য অংশ ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে
হঠাৎ করে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে
রক্তে প্লাটিলেট বা অনুচক্রিকার সংখ্যা আশংকাজনকভাবে কমতে শুরু করতে পারে
ডেঙ্গু জ্বর একটি সাধারণ রোগ। কিন্তু অবহেলা করলে এই রোগ মারাত্মক হতে পারে। শহরাঞ্চলে এর প্রকোপ বেশি। তাই নগরবাসীসহ সবাইকে আরেকটু সজাগ ও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে যাদের ডেঙ্গু হয়েছে তাদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে। দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুর সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং দিন রাত ২৪ ঘন্টা যখন প্রয়োজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।