আমাদের শরীরের পুষ্টির জোগানদাতা হচ্ছে মুখ। আমরা শরীরের পুষ্টির প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ করে থাকি। এই খাবারগুলো আমাদের শক্তি যোগানের উৎস।খাবার গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে ভাইরাস আমাদের মুখগহ্বরে প্রবেশ করে এবং এই মুখগহ্বরের ভিতরেও বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বিদ্যমান, যেসবের মধ্যে উপকারী ও অপকারী সব ধরনের জীবাণু থাকে।সুতরাং মুখগহ্বরের যত্ন নেওয়া জরুরী।
মুখগহ্বরের যত্নের উপকারীতা
মুখগহ্বরের যত্নের অভাবে শরীরে অনেক ধরণের রোগ হতে পারে। মাঝেমধ্যে এইরোগগুলো শরীরে স্থায়ী রুপ ধারণ করতে পারে। মুখগহ্বরের সঠিক যত্নের অভাবে সেখান থেকে প্রতিদিনের খাবার থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আমাদের পেটে যেতে পারে।যার ফলে, পেটের রোগ হতে পারে। Healthx BD
- মুখগহ্বর পরিষ্কার না করলে মাড়ির প্রদাহ হতে পারে।
- মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
- অপরিষ্কার মুখগহ্বর মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ।
- দাতের গোড়ায় ক্ষত হওয়ার কারণ হিসাবেও অপরিষ্কার মুখগহ্বরকে ধরা হয়।
- দাঁত ও মুখের সাথে সাথে জিহ্বা অপরিষ্কার থাকলে সেখান থেকেও নানাধরণের রোগ হতে পারে।
- অপরিষ্কার মুখগহ্বর দাঁত ও মাড়ির চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে। Healthx BD
ডায়াবেটিকস রোগীদের মুখের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ইফেকটিভনেস অনেক কম থাকে তাই তাদের মুখগহ্বর পরিষ্কার থাকা জরুরি।
মুখের যত্নের করণীয়-
-প্রতিদিন সকালে খাবারের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
– সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করার পদ্ধতি ও ব্যবহার করতে হবে জানতে হবে।
-দুই দাঁতের মাঝখানে পরিষ্কার রাখার জন্য ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার জরুরি।
-অনেক সময় দাঁত ফাঁকা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শে ইন্টার ডেন্টাল ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।
– অনেক সময় দাঁতের যত্নে ডাক্তারের পরামর্শে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে হয়। তবে,বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মাউথওয়াশ, বিশেষ করে ১২ বছরের বাচ্চাদের মাউথওয়াশ ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে মাউথওয়াশ একাধারে ১৫ থেকে ২১ দিনের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ এতে মুখগহ্বরের জিহ্বার ক্ষতি হয়।
– টাং ক্লিনার দিয়ে প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে। – সর্বশেষে মাড়ি হাত দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে মাড়ি সুস্থ এবং সবল হবে।Healthx BD